নিহত বুথ সভাপতির শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাঠালিয়াতে যাচ্ছিলেন সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামরা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় মাঝপথেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।
ভোট হিংসায় জখম হয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কর্মী। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। নিহত বুথ সভাপতির শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাঠালিয়াতে যাচ্ছিলেন সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামরা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় মাঝপথেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামরা। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে সওকত মোল্লা জানিয়েছেন,'আমাদের বুথ সভাপতিকে মারধর করেছিল আইএসএফ-এর সমাজবিরোধীরা। আজ সকালে তিনি মারা যান। আমরা তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছি। কিন্তু পুলিশ বলছে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় যেতে দেওয়া হবে না। আমরা তাঁর শেষকৃত্যে অংশে নেব, পুলিশ যেতে দিচ্ছে না। তাই আম্রা এখানে বসে পড়েছি। মৃতের পরিবারের লোকেরা বলছে আমরা না গেলে শেষকৃত্য করবে না। তাঁদের বুঝিয়ে পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক প্রশাসন কী করে।'
প্রসঙ্গত সেই মনোনয়ন পর্ব থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। দফায় দফায় সামনে এসেছে অশান্তির ঘটনা। মনোনয়ন পর্বে ঢুকে নির্দল প্রার্থীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙরের নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারপরই কুপিয়ে খুন করা হয় ওই প্রার্থীকে। পাশাপাশি তাঁর আত্মীয়দেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে এখানেই শেষ নয়, সেইদিনই রঘুনাথপুর গ্রামের আইএসএফ প্রার্থী ভারতী মণ্ডল ও তাঁর বাড়ির লোককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতভর এলাকাজুড়ে চলে বোমাবাজির ঘটনা।
ভাঙরের ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিক পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বললেন,'আমাদের ঝান্ডা তুলে ফেলে দিচ্ছে, আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তবুও আমরা সরকারের কাছে প্রশাসনের কাছে একটা আস্থা রেখে প্রতিবাদে নামছি না।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন,'পুলিশের সঙ্গে কথা বলব, যে সকল সমাজ বিরোধীরা এই কাজ করছে তাদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।'