পটাশপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের মেয়ের অভিযোগ। তাদের বলা হয়েছে মিডিয়া বা পুলিশকে কিছু না বলতে।
নির্যাতিতার মেয়ে বলেন, 'ভোটর সময় তো বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায় অকারণে, তখন জুতো ছিঁড়ে গেলেও হাঁটতে সমস্যা হয় না। এখন আমরা বিপদে পড়েছি। এখন বিপদের দিনে একবারও আসার সময় হল না, এটা কী বাস্তব? তিনি বলেন, মিডিয়া বা পুলিশ আসলে তাদের কিছু বলা যাবে না। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে থেকে একথাই আমার বড় মামা-কে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল এমনই অভিযোগ!" এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত থেকে কেউই এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
অন্যদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও সন্তুষ্ট নয় পরিবার। হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে পরিবার। ময়নাতদন্তে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সেখানে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই, প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। মৃতের ছেলে স্পষ্ট বলেছে, 'আমরা ময়নাতদন্তে সন্তুষ্ট নই। হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছি।'
রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার প্রতিবেশী। প্রতিবেশী যুবক দীর্ঘদিন ধরে গৃহবধূর ওপর নজর রাখছিল। এর আগেও বহুবার তাকে ভুল প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গৃহবধূ তাকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে যুবকরা ঘরে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। সে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা বলছেন, কাজে বাধা দেওয়ায় ওই মহিলাকে মারধর করা হয়। এরপর কীটনাশক খেয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।