Viral Video: শাহজাহানের ভাইয়ের বাড়িতে আগুন, বিক্ষোভের জেরে পালাচ্ছে সিরাজুদ্দিন- দেখুন ভিডিও

বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে সে গ্রামছাড়া রয়েছে।

 

Saborni Mitra | Published : Feb 22, 2024 2:40 PM IST

আবারও বিক্ষোভে উত্তাল সন্দেশখালি। এবার বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা সন্দেশখালির ফেরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজুদ্দিনের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সিরাজুদ্দিনকে তাড়া করে বলেও অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ সিরাজুদ্দিন গ্রামে ঢুকে স্থানীয়দের হুমকি দিচ্ছিল । সেই কারণেই তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে সে গ্রামছাড়া রয়েছে। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের কারণেই শাহজাহানের ভাই মোটরবাইকে চড়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালির রামপুর এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ শাহজাহান ও তাঁর ভাই ও তার সাগরেদরা এলাকায় রীতিমত বেআইনি কাজ করত। এরা মহিলাদের যৌন হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পাশাপাশি এলাকার মানুষের জমিও অবৈধভাবে দখল করত। যদিও গোটা ঘটনায় পুলিশ ছিল নিস্ক্রীয়। দেখুন সেই ভিডিও। পাশাপাশি স্থানীয় মহিলারা শাহজাহান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষোগ উগরে দিচ্ছে।

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সিরাজুদ্দিন ও তার ভাইয়েরা এলাকার উপজাতী বাসিন্দাদের কাছ থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল। তারা জোর করে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল। তারই প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয়রা। গ্রামবাসীরা শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শিবু হাজরার একটি পোল্ট্রি ফার্মে আগুন দিয়েছে। যদিও স্থানীয়দের বিক্ষোভের চাপে পড়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে।

সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর হওয়া যৌন হয়রানির অভিযোগকেই হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। তার প্রথম সারিতে রয়েছে বিজেপি। বিজেপির একাধিক নেতা সন্দেশখালি গেছেন। দিল্লি থেকে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা ও তার প্রতিনিধি দল। এসসি এসটি কমিশনের প্রতিনিধি দলও সন্দেশখালি সফর করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও উঠেছে।

 

Share this article
click me!