
SIR ইস্যুতে মতুয়াদের পাশে দাঁড়াতে আজ ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার সময়ই তাঁকে বারাসতে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁর কনভয় আটকে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়া। বারাসত মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের চোখ চুরির অভিযোগ উঠেছে। তারই বিহিত করার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন স্থানীয়রা। মৃতের আত্মীয়রাও মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে প্রতিবাদ জানান।
মৃতদেহের চোখ নিখোঁজ নিয়ে উত্তেজনা বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যশোর রোডে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকে জানানো হল অভিযোগ! বারাসাত মেডিকেল কলেজের মর্গে মৃতদেহের চোখ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এভাবেই উত্তেজনা ছড়ালো যশোর রোডে। বিক্ষুব্ধ পরিবার-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর পরিস্থিতি আংশিক শান্ত হলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেখান থেকে রওনা দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ (৩৬) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে আনার সময়ও তাঁর দুই চোখই ছিল। পরদিন পোস্টমর্টেমের পর দেহ নিতে গেলে তাঁরা দেখেন, এক চোখ নেই। অভিযোগ ওঠে- মর্গে দেহ রাখার পরই চোখটি নিখোঁজ হয়েছে। হাসপাতালের তরফে পরিবারকে জানানো হয়, ইঁদুরে চোখটি নিয়ে গিয়েছে। এই ব্যাখ্যা ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। ঠিক সে সময় বনগাঁ থেকে সভা সেরে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসাত বনমালিপুর হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছতেই বিক্ষোভকারীরা তাঁর গাড়ি আটকে অভিযোগ জানাতে থাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলেই মাইকে ঘোষণা করেন, সঠিক তদন্ত হবে। যদি অপরাধ সত্যি প্রমাণিত হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে মৃতের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তারা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন চোখ নেই। তারপরই মৃতের পরিবারের বাকি সদস্যদেরও বিষয়টা জানান হয়। তখনই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, চোখ ইঁদুরে নিয়ে গেছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে অঙ্গ পাচারচক্র সক্রিয়।