আরজিকরের তরুণীকে প্রথমে খুন করে তারপর ধর্ষণ করা হয় বলেই অনুমান করছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত যারা করেছেন তারা খুনের পরে ধর্ষণ না ধর্ষণের পরে খুন সেই বিষয়ে কোনও উল্লখে করেননি। কিন্তু পারিপার্শিক তথ্য দেখে প্রথমে ঘুমের মধ্যে তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এখনও ফরেনসিক রিপোর্ট বা ময়না তদন্তে এই ধরনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, সেই তরুনীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরেই ধর্ষণ করা হয়েছে।
ঘটনার সময়ে মদ্যপান করেছিলেন অভিযুক্ত বলে দানা গিয়েছে। পুলিশ ব্যারেকে তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল। ২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়ারহিসাবে য়োগ দেয়। অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল সঞ্জয়। প্রথমে মদ্যপান করে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফের পুলিশ ব্যারাকে ফিরে আসে সঞ্জয়।
সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও পুলিশ ব্যারাকে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারত সঞ্জয়।
ঘটনার দিন বিশ্রাম নিতেই সেমিনার হলে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখানেই তাঁর উপরে আক্রমণ করা হয়। প্রথমে দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলা হলেও । পরে খুন ও ধর্ষণের কথা সামনে আসে। এরপুর তরুণীর দেহের পাশ থেকে একটি হেডফোনের ছেঁড়া তার পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। হাসপাতালের সিসিটিভিতেও ধরা পড়েছে সঞ্জয়ের সন্দেহজনক গতিবিধি।
শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। সেই সময়তেও নেশাগ্রস্থ অবস্থাতেই ছিল সঞ্জয়। ইতিমধ্যেই নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সঞ্জয়। তবে অপরাধ করেও বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয় সঞ্জয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।