
এই রাজ্যের বিরোধীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গাতে ভরে গিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আর বিরোধীদের সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে আরও এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
সদ্য এক সভায় সাবিত্রী মিত্র এমন মন্তব্য করেন যা দেখে চমক পেয়েছেন সকলে। সকলেই অভিযোগ তোলেন তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার।
পাহেলগাঁও হামলা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূলের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তাঁর বক্তব্য শুনে চমক পেলেন সকলে। এমন মন্তব্যও কেউ করতে পারেন বলে আশা করেননি কেউ।
পাহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলার ঘটনা নাড়া দিয়ে গিয়েছে সকলকে। দেশ তথা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সাবিত্রী মিত্র বলেন যে, ‘জঙ্গিরা কখনও পর্যটকদের মারে না। বরং তারা পর্যটকদের রেসপেক্ট জানায়। তাহলে টুরিস্টদের মারল কে? এখনও অবধি তদন্ত পাবেন না।’ এভাবে জঙ্গিদের গুণগান করলেন।
স্বাভাবিকভাবেই একজন দায়িত্বশীল বিধায়ক কি করে জঙ্গিদের হয়ে এমন কথা বলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। সেই প্রশ্ন তুলে ধরে রীতিমতো বিরোধিতা করেছেন অনেকেই। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, এই প্রতিক্রিয়া শুধুই লজ্জার নয় বরং দেশবিরোধীও।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে যে ঘটনা ঘটে তা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। জঙ্গিরা পর্যটকরা হিন্দু কি না তা জেনে বেছে বেছে খুন করে। কোনও মহিলার মাথায় সিঁদুর দেখে তার স্বামীকে গুলি করে তো কারও হাতে চূড়া দেখে তাঁর স্বামীকে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত হন প্রায় ২৭ জন। যাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সকলে ছিলেন হিন্দু। এই ঘটনার পর চিরুণি তল্লাশি চললেও জঙ্গিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর ভারত সরকার করে সিঁদুর অপারেশন। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারতের সৈন্যরা। এভাবেই পহেলগাঁও হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হয়।