৫২৭ ভোটে এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। তবে কি এবার ক্ষমতার হাতবদল হতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন।
সাগরদিঘিতে শেষ হল প্রথম রাউন্ড ভোট গণনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর পোস্টাল ব্যালট গণনা শেষে এগিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। তবে কি গড় হাতছাড়া হবে তৃণমূলের। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রথম রাউন্ড গণনার পর প্রায় ৫২৭ ভোটে এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। যদিও এখনও ১৫ রাউন্ড গণনা বাকি। তবে প্রথম পর্বেই বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। সাধারণত এই ধরণের উপনির্বাচনে সাধারণত জয়ের ক্ষেত্রে ব্যবধান অনেকটাই বেশি থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শাসকদলই অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে। কিন্তু প্রথম রাউন্ড গণনা শেষেই উল্টো ছবি দেখা গেল সাগরদিঘিতে। ৫২৭ ভোটে এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। তবে কি এবার ক্ষমতার হাতবদল হতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও গণনার এখনও অনেক বাকি। ফলত এক্ষুণি কিছু নিশ্চিত করে বলা না গেলেও প্রথম রাউন্ডেই কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল কংগ্রেস।
সাগরদিঘিতে প্রথম রাউন্ড গণনার ক্ষেত্রে প্রথম রাউন্ডেই এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তবে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দিতাকে নজরে রেখে অনেকেই মনে করছেন যে দলই জয়ী হোক না কেন মার্জিন দুই, চার, দশ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। বৃহস্পতিবার মোট ১৬ রাউন্ডের কাছাকাছি গণনা হতে পারে। এই মুহূর্তে সব দলই ব্যস্ত নিজেদের হিসাবনিকাশে। বুথ ভিত্তিক ভোট বিশ্লেষণের পর আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই দলই। তাঁদের দাবি প্রত্যাশা মতই ভোট পেয়েছে তাঁরা। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে দলই জয়ী হোক না কেন বিজেপি থাকবে দ্বিতীয় স্থানেই। আজকের নির্বাচনের ফলাফলের বড় প্রভাব ফেলবে সংখ্যালঘু এলাকার ভোট। এই এলাকার ভোট প্রাপ্তি নিয়ে এখনও হিসাব কষছে ঘাসফুল শিবির।
জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও কমতে পারে মার্জিন, জানালেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন,'জয়ী হলেও আমাদের মার্জিন অনেকটাই কমবে। ব্যবধান সর্বোচ্চ হতে পারে ১৫,০০০ মতো। তবে উল্টো সুর শোনা গেল কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের গলায়। তিনি জানিয়েছেন,'এবার তৃণমূলের গড় যে পঞ্চায়েতগুলিতে সেখানে চমকে দেওয়ার মতো ফল হবে। সংখ্যালঘু এলাকায় খুব ভালো ভোট পেয়েছি। জয়ের ব্যবধান কোনও মতেই ২০,০০০-এর কম হবে না। বিধানসভায় খাতা খুলতে চলেছি আমরা। উপনির্বাচনে এবার অধীর এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে এক মঞ্চে দেখা না গেলেও স্থানীয় স্তরে যে এবার বাম-কংগ্রেস বোঝাপড়া এবার অনেক বেশি পোক্ত তা দাবি করেছে দুই শিবিরই। জয়ের জন্য কংগ্রেস প্রার্থীর প্রয়োজন ন্যূনতম ৫০ হাজার ভোট। গত নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৬ হাজার। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে এবার সংখ্যাটা ছাড়াতে পারে ৬০ হাজারের গণ্ডি। বিজেপির ভোট শতাংশে খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২০২১ সালে সালের নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভায় ভোট দানের হার ছিল ৭৮.৮৭ শতাংশ। এবছর তা কমে হয়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ।বিধানসভা কেন্দ্রের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি হিন্দু ভোট রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের অনুপস্থিতি ফলাফলের উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক দলগুলির দাবি।
আরও পড়ুন -
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাগ্য নির্ধারণ সাগরদিঘিতে, সকাল ৮টা থেকে গুরু হবে ভোট গণণা
ত্রিপুরার এক্সিট পোল মানতে নারাজ বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, জানুন কোন দলের কী মত