
Poush Mela 2025: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শান্তিনিকেতনে মঙ্গলবার, ৭ পৌষ ঐতিহ্যবাহী পৌষ উৎসব ও পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ছাতিমতলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ। এছাড়া বিশ্বভারতীর বিভিন্ন স্তরের অধ্যাপক, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকের উপস্থিতিতেও মুখরিত হয়ে ওঠে ছাতিমতলা চত্বর। এ বছর শান্তিনিকেতনে পালিত হচ্ছে ১৮২তম পৌষ উৎসব। ঐতিহাসিকভাবে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (Debendranath Tagore) তাঁর ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই পৌষ উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই এই উৎসব শান্তিনিকেতনের এক অনন্য সাংস্কৃতিক পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ভোরের আলো ফুটতেই রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পৌষ উৎসব ও পৌষ মেলার অনুষ্ঠান। শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই আচার-অনুষ্ঠান শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিশ্বভারতীর মেলা মাঠে পৌষ মেলার প্রস্তুতি সাঙ্গ। এবার পৌষ মেলায় প্রায় ১,৫০০ স্টল থাকছে। পুলিশি নিরাপত্তাও বেশ কঠোর। প্রায় ২,৫০০ পুলিশকর্মীকে এই মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে ৫০০ সিসিটিভি, ৫ ড্রোন। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছে পুলিশ। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার শুরু হয়ে রবিবার পর্যন্ত চলবে পৌষ মেলা। শান্তিনিকেতনের পূর্ব পল্লির মাঠে মেলা শুরু হয়েছে। পৌষ মেলার বিশেষ আকর্ষণ বীরভূমের বিখ্যাত হস্তশিল্প। মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র থেকে শুরু করে কাঁথা স্টিচ, ডোকরার তৈরি নানা জিনিস, শান্তিনিকেতনের চামড়ার ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, পুরুষ-মহিলাদের পোশাক, সবকিছুই এই মেলায় পাওয়া যায়। মেলা মানেই খাওয়া। তারও কোনও কমতি নেই। শান্তিনিকেতনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সারা বছরই নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থা থাকে। পৌষ মেলার সময় সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।