
একাকী ঘুপচি ঘরে কোন মতে থাকতেন বৃদ্ধা। পেট চালাতে ভরসা সকালর সন্ধ্যে ভিক্ষা করা। বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বৃদ্ধা । মায়ের মৃত্যুর কথা শুনেই জড়ো হতে থাকেন তার ছেলেমেয়েরা। কিন্তু সকলেই যেন করতে থাকে অন্য চিন্তা। একটা সময়ে তারা তার মায়ের ওই ছোট ঘরটাতে তল্লাশি চালাতেই অবাক। সকলের চোখে বিস্ময়, পেয়ে গেল টাকার পাহাড়ের সন্ধান । গোনার পর টাকার অংশটা শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে ভাববেন ভিক্ষা করেও জমানো যায় এত টাকা?
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,যতদিন মা বেঁচে ছিল কোনদিন সন্তানরা তার খোঁজ নিতে আসতেন না। বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়লেও দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য তিনি ভিক্ষা করে বেড়িয়েছেন। কীভাবে মায়ের দুদিন চলছে সেকথা কেউ জানার চেষ্টা করেন নি। অথচ মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনেই মায়ের ঘুপচি ঘরে কীসের সন্ধানে চলে এল সন্তানেরা, প্রশ্ন তুললেন প্রতিবেশিরা।
বৃদ্ধার ঘর থেকে যা মিলল তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় উপস্থিত সকলের। হতবাক হয়ে গেলেন প্রতিবেশীরাও। অসহায় ওই বৃদ্ধার ঘর থেকে মিলল নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা।
রবিবার সকালে এই ঘটনার ঘবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। এই এলাকারই বেলিয়াচক পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন আসেনূর বেওয়া। বিভিন্ন খবর থেকে জানা যায়, বৃদ্ধা আসেনূরের আপন ছিলেন না তাঁর সন্তানরাও । হয়ত সেইকারণেই তাঁরা বৃদ্ধার কোনও দেখাশোনা করা বা যোগাযোগ করতেন না।
বৃদ্ধার মৃত্যুর পর প্রতিবেশীরা আসেনূরের ছেলেমেয়েকে খবর পাঠান পাড়া । মা মারা গিয়েছেন শুনেই একে একে জড়ো হতে থাকেন ছেলেমেয়েরা। এরপর তাঁদের মনে হয়, মায়ের ঘরটা একবার দেখা দরকার যদি কিছু কাজের জিনিস থাকে তো সেটা উদ্ধার করা দরকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই বৃদ্ধার ঘরের বিভিন্ন জায়গা খুঁজে দেখা হয়। দেখা যায়, আসেনূরের ঘরের বিভিন্ন জায়গায় সযত্নে জমিয়ে রাখা রয়েছে অর্থ। প্রচুর পরিমানে খুচরো পয়সা এবং নানা মূল্যের নোট ভাঁজ করে রাখা। ১,২,৫,১০ টাকার কয়েনের সঙ্গে ১০০ থেকে ৫০০ টাকার নোটও মিলেছে। গোনার পর দেখা গিয়েছে বৃদ্ধার জমানো টাকার পরিমান ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪১৪ টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।