'ঠাকুরবাড়িতে মোতায়ন ৫ হাজার পুলিশ কর্মী গুন্ডাদের নিরাপত্তা দিয়েছে', বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর

Published : Jun 11, 2023, 09:42 PM ISTUpdated : Jun 11, 2023, 09:44 PM IST
Shantanu Thakur attacked state police over TMC BJP clash at Thakurbari in Thakurnagar

সংক্ষিপ্ত

শান্তনু ঠাকুর বলেন ঠাকুরবাড়িতে যারা আক্রান্ত তাদের কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। উল্টে যারা হামলা চালিয়েছে তাদেরও নিরাপত্তা দিয়েছে। হামলার সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের জনযোগ যাত্রা ঘিরে রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আহতরা হাসপাতালে গেলে সেখানেও দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এলাকার বিজেপির সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিহার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বার্তা দেন। সেখানে তিনি রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। এক হান নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর প্রশ্ন কেন ঠাকুরবাড়িতে পাঁচ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ মতুয়া ধামে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত গুন্ডার নির্দয়বাবে আক্রমণ করেছে । রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন শান্তনু ঠাকুর।

এদিন রীতিমত বিস্ফোরক শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন ঠাকুরবাড়িতে যারা আক্রান্ত তাদের কোনও নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ। উল্টে যারা হামলা চালিয়েছে তাদেরও নিরাপত্তা দিয়েছে। হামলার সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। রাজ্যে জরুরি অবস্থা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় বলেও দাবি করে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন ঠাকুরবাড়িতে পাঁচ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শুধুমাত্র গুন্ডাদের বাঁচানোর জন্য। শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ধারাবাহিকভাবে মতুয়াদের অসম্মান করে যাচ্ছেন। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ এদিন মন্দিরে আসা ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন মহিলা , যারা আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র আহতদের কাছেই নয়, গোটা মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছেই মুখ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

 

 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষে বাধে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে তা শেষ হয় স্থানীয় হাসপাতালে। দুই পক্ষের আহতরা চিকিৎসা করাতে গেলে একে অপরের ওপর চড়াও হয়। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ নিস্ক্রীয় ছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার আগে থেকেই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে বসে বিক্ষোভ দেখান। পাল্টা সেখানে উপস্থিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল বিবাদ শুরু হয়। আর সেই সময়ই মতুয়া মূল মন্দিরে প্রবেশ করেন ঠাকুর বাড়ির সদস্য তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর মন্দিরে প্রবেশ করে তিনি দরজা ভিরত থেকে বন্ধ করে দেন। তারপর সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পর মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে না পেরে পাশের ছোট মন্দিরেই পুজো দেন অভিষেক।

তারপর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মা বীনাপাণি দেবীর সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর ঘরে দিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তখনও মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রেখেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দমবার পাত্র নন। তিনি বড়মার ঘর থেকে বেরিয়ে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়েই শান্তনু ঠাকুরকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, তিন মাস অন্তর তিনি ঠাকুরনগর যাবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন ঠাকুরনগরের আর মতুয়াদের উন্নয়নের জন্য সবকিছু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

আরও পড়ুনঃ

উহানের গবেষণাগারে সেনা বাহিনীর ইন্ধনে তৈরি হয়েছিল করোনাভাইরাস, দাবি গবেষকদের

অভিষেক-শান্তনু দ্বন্দ্ব ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে, মূল মন্দিরে ঢুকতে না পেরে হুমকি তৃণমূল নেতার

পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মোদী-শাহের বাংলা সফর স্থগিত, মাঠে নেমে লড়তে হবে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের

 

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর