সংক্ষিপ্ত
ঠাকুরবাড়িতে গেলেও মূল মন্দিরে প্রবেশে বাধা অভিষেককে, ভিরত থেকে দরজা বন্ধ রাখলেন শান্তনু । বাইরে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ ছড়ছিল ঠাকুরনগরে। তারই জেরে মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেন না তৃণমূল নেতা। তবে পাশের ছোট মন্দিকে পুজো দিয়েই সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি। তবে এলাকা ছাড়ার আগে স্থানীয় নেতা তথা বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে রীতিমত হুমকি দেন অভিষেক। যদিও এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেব বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যাওয়ার অনেক আগে থেকেই অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে বসে বিক্ষোভ দেখান। পাল্টা সেখানে উপস্থিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রবল বিবাদ শুরু হয়। আর সেই সময়ই মতুয়া মূল মন্দিরে প্রবেশ করেন ঠাকুর বাড়ির সদস্য তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর মন্দিরে প্রবেশ করে তিনি দরজা ভিরত থেকে বন্ধ করে দেন। তারপর সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পর মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে না পেরে পাশের ছোট মন্দিরেই পুজো দেন অভিষেক।
তারপর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মা বীনাপাণি দেবীর সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর ঘরে দিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তখনও মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রেখেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দমবার পাত্র নন। তিনি বড়মার ঘর থেকে বেরিয়ে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়েই শান্তনু ঠাকুরকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, তিন মাস অন্তর তিনি ঠাকুরনগর যাবেন।
এদিন বিকেল ৪টের সময় অভিষেক ঠাকুরনগর পৌঁছে যান। কিছুক্ষণ পরেই ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন। তারই মধ্যে ঠাকুরবাড়ির সামনে নিজের কনভয় নিয়ে হাজির হন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। তিনি হঠাৎ করেই হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মন্দিরে প্রবেশ করে দরজা ভিরত থেকে বন্ধ করে দেন। তাতেই মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময় তাঁর পাশে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাতাহতি ও সংঘর্ষ লেগে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
যদিও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিষেক, তিনি বলেন, এখানে তাঁর কোনও কর্মসূচি ছিল না। তিনি শুধুমাত্র পুজো দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর তাঁকে পুজো দিতে দেয়নি বলেও অভিষোগ করেছেন। তবে এই ঘটনার জবাব ঠাকুরনগরের জনতা দেবে বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়। অন্যদিকে মন্দিরে সংঘর্ষের ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য পুলিশকে। অমিত শাহেরও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। বলেছেন ঠাকুরবাড়ির পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
Metro Rail: ময়দান স্টেশনে ডাউন লাইনে ফাটল, রবিবার বিকেলে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মোদী-শাহের বাংলা সফর স্থগিত, মাঠে নেমে লড়তে হবে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের