সংক্ষিপ্ত

রিপোর্টে বলা হয়েছে এটি স্পষ্ট যে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলডি কোভিড-১৯ ভাইরাস তৈরির চেষ্টা করছিল। একদম গোপনেই এই পরীক্ষা চলছিল।

 

করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি। এতদিনে সেই তথ্য হাতে এল। তেমনই দাবি করেছে একটি প্রতিবেদন। সেখানে বলা হয়েছে উহানের বিজ্ঞানীরা চিনের সেনা বাহিনীর সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করেছিল। তাতেই করোনাভাইরাসগুলিকে একত্রিত করে একটি নতুন মিউট্যান্ট ভাইরাস তৈরি করেছিল। সেই থেকে করোনাভাইারস মহামারির আকার নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। গবেষণাকারীদের দাবি চিনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সানডে টাইমস-এর প্রতিবেদনে তেমনই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চিনের বিজ্ঞানীরা গোপনে একটি বিপজ্জনক পরীক্ষা চালাচ্ছিল। যারফলে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলডি থেকে ভাইরাসটি কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রতিবেনটি গোপনীয় প্রতিবেদন, অভ্যন্তরীণ তথ্য , বিজ্ঞানৈক কাগজপত্র ও ইমেল, চিঠিপত্র ও একাধিক নথির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত খতিয়ে দেখেই তবেই এই দাবি করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে এটি স্পষ্ট যে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলডি কোভিড-১৯ ভাইরাস তৈরির চেষ্টা করছিল। একদম গোপনেই এই পরীক্ষা চলছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই গবেষণার কোনও তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। চিনের সেনা বাহিনী ভাইরাসটি তৈরি করতে সহযোগিতা করছিল। গবেষণার প্রয়োজনীয় তথ্য চিনের লাল ফৌজের হাতেই রয়েছে। চিনা সেনা বাহিনীর সহযোগিতার কাজ করছিল উহানের বিজ্ঞানীরা।

উহান ইনস্টিটিউজ অব ভাইরোলজি ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের উৎস সন্ধান শুরু করে। দক্ষিণ চিনের বাদুড়ের গুহা থেকে বাদুড় ও নমুনা সংগ্রহের কাজও জোর কদমে চলছিল। একাধিক বিজ্ঞানী ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষায় নিযুক্ত ছিল। ফলাফলগুলি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। গবেষকদের মতে সার্সের মত ইউনান প্রদেশের মোজিয়াংয়ের একটি মাইনফ্যাফ্টে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও চিন বিশ্বের কাছে এই তথ্য চেপে গিয়েছিল। যদিও সেই ভাইরাটটি বর্তমানে কোভিড পরিবারের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারপর থেকেই এই গবেষণা উহানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল চিন। সেখানে গবেষণার দায়িত্বে ছিল সেনারা।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এক ডজনেরও বেশি তদন্তকারীকে মার্কিন গোয়েন্দা পরিষেবাগুলির দ্বারা সংগৃহীত ইন্টারসেপ্ট থেকে "মেটাডেটা, ফোন তথ্য এবং ইন্টারনেট তথ্য" অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন তদন্তকারীরাও মনে করছে উহানকে চিন একটি বেসামরিক গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রচার করলেও এই গবেষণাগার চিনা সেনাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে। সেনা বাহিনী সেখানে শেষ কথা বলে। উহানের সঙ্গে চিনা সেনা বাহিনীর গভীর যোগাযোগ রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই সেনা বাহিনীর পরীক্ষাগার হিসেবে উহানের ব্যবহার করছে চিন। যদিও বিশ্বের কাছে একাধিকবার তা অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুনঃ

এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার অখিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সমালোচনায় সিপিআই নেতা

অভিষেক-শান্তনু দ্বন্দ্ব ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে, মূল মন্দিরে ঢুকতে না পেরে হুমকি তৃণমূল নেতার

'পাকিস্তানের জন্য বিপজ্জনক', এমন তকমা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র- বিস্ফোরক ইমরান খান