BLOs Training process: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন রাজ্যের বিএলও-দের এজাতীয় প্রশিক্ষণ অতীতে হয়নি। কিন্ত কেন এই প্রশিক্ষণ তার উত্তর দেননি।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নর্বাচন। তার আগেই এই রাজ্যে বিহারের ভোটার তালিকার মত বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা SIR হবে কিনা তাই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিজেপির নেতা কর্মীরা যেমন SIR-এর পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন তেমনই তৃণমূল কংগ্রেস এর চূড়ান্ত বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস ও বামেরাও এই বিরোধিতা করছে। কিন্তু এরই মধ্য়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে রাজ্যের বিএনও-দের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া। তেমনই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। যদিও তিনি স্পষ্ট করে জাননি বিহারের মত ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হবে কিনা।
25
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন রাজ্যের বিএলও-দের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন হবে কিনা তা স্পষ্ট করে জানানি। তিনি বলেছেন, রাজ্যে SIR হবে কিনা তাই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়টি তার এক্রিয়ারের মধ্যে নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
35
আশঙ্কার কারণ
কয়েক দিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন নবান্নে চিঠি লিখে জানিয়েছিল রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিকের দফতরকে রাজ্য সরকারের আওতা থেকে মুক্ত করতে স্ব-শাসন দিতে হবে। তার কয়েক দিন পরেই রাজ্যে বিএলও-দের প্রশিক্ষণপর্ব শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন রাজ্যের বিএলও-দের এজাতীয় প্রশিক্ষণ অতীতে হয়নি।
মূলত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে, শুক্রবার হয়েছে মালদহে, শনিবার হবে মেদিনীপুর ডিভিশনে। রবিবার প্রশিক্ষণ হবে কলকাতায়। এমনটাই শোনা যাচ্ছে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে। যদিও প্রশিক্ষণ নিয়ে এর বেশি কোনও বার্তা দিতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন।
55
২০ বছরেরও বেশি সময় পরে...
বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে জোর বিতর্ক দেশজুড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটার তালিকা থেকে সাধারণ মানুষের নাম বাতিল করার জন্যই এই প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন ভুয়ো ভোটার থাকবে কেন? কেন বিদেশি বা অনুপ্রশেবকারীরা এই দেশে ভোটাধিকার পাবে? যদিও ভোটার তালিকার সংশোধন মাঝেমধ্যেই করে নির্বাচন কমিশন। শেষবার তালিকা সংশোধন কারা হয়েছিল ২০০২-২০০৪ সালে। বাংলাতে শেষবার ভোটার তালিকা সংশোধন হয়েছিল ২০০২ সালে। এবার যদি ভোটার তালিকা সংশোধন হয় তাহলে ২০ বছরেরও বেশি সময় পরে বাংলা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন হবে।