BJP Bengal News: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ২৬-এর নির্বাচনের আগে নতুন প্রাণ আনার চেষ্টা চলছে রাজ্য বিজেপিতে। সেই লক্ষ্যেই নতুন কমিটি গঠনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি।।
রাজ্য বিজেপিতে নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা। শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরি করতে নানা রাজনৈতিক সমীকরণ ও দলের অভ্যন্তরীণ শৈলীতে চলছে সরগরম প্রস্তুতি। কারা পাবেন নেতৃত্বের আসন, কারা বাদ পড়বে এবং কোন পুরোনো মুখেরা ফিরতে পারেন—তা নিয়ে এখন চলছে জোর কাটাছাঁট। তৃণমূলের ‘বাঙালি অস্মিতা’ রাজনীতির বিরুদ্ধে পালটা মিঠুনকে দলের মুখ করে রাজ্যে প্রচার জোরদার করার চেষ্টা BJP-র তরফে লক্ষ্য হিসাবে উঠে এসেছে। এবারের নতুন কমিটিতে মিঠুনের ভূমিকা কতটা শক্তিশালী হবে, সেটাই এখন রাজনৈতিক মহলের চোখে রাখার বিষয়।
25
গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চলছে টানাপোড়েন
সূত্রের খবর, শমীকের পছন্দের তালিকা নিয়ে দলে চলছে টানাপোড়েন। একসময় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে শমীকের জুটির অংশ ছিলেন যিনি, সেই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরও ভূমিকা থাকছে এই কমিটি গঠনে। ফলে পুরোনো সম্পর্ক আর রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন কমিটিতে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
35
অনুমোদন মিললেই ঘোষণা হবে নতুন কমিটির নাম
সাধারণত রাজ্য সভাপতির ইচ্ছেমতোই তৈরি হয় কমিটি। প্রায় তৈরি নতুন কমিটির সম্ভাব্য সদস্যদের নামের তালিকা। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে ফিরেই নামের তালিকা চূড়ান্ত করবেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। অনুমোদনের জন্য তালিকা যাবে রাজ্য আরএসএস নেতৃত্বের কাছে। অনুমোদন মিললেই ঘোষণা হবে রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটির নাম।
এই নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন কিছু পুরনো, হারিয়ে যাওয়া নেতা ও আগের শাস্তিপ্রাপ্ত নেতারা। শাস্তি প্রত্যাহারের অনুমোদন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে জোগাড় করেছেন শমীক, এমনটাই সূত্রের দাবি। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকেও এই কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বদল আসছে বিজেপির বিভিন্ন মোর্চা সভাপতির পদেও। বিশেষ করে প্রধান মুখপাত্রের পদে বদল অবধারিত। কারণ, এই পদে আগে ছিলেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নিজেই। মিডিয়া সেলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও রদবদল হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
55
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে?
দলের একাংশ মনে করছে, তৃণমূল যেভাবে বাঙালি অস্মিতার রাজনীতিকে হাতিয়ার করছে, তার পাল্টা হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীকে বিজেপির মুখ করে প্রচারে নামানো হোক। অনেকেই আবার চাইছেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হোক। তবে বয়স, কর্মব্যস্ততা এবং দলের অন্দরের মতবিরোধ—এই তিনটি বিষয়েই তৈরি হতে পারে নতুন বিতর্ক। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে কী পদক্ষেপ নেয় এবং নতুন কমিটি রাজ্যে দলের ভিত কতটা মজবুত করতে পারে।