রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। তখনই বাইকে চড়ে আসে ৩ জন দুষ্কৃতী।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রক্ত ঝরল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। গুলি করে খুন করে দেওয়া হল তৃণমূলের আঞ্চলিক বুথ সভাপতিকে। একেবারে কাছ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বিষ্ণুপুরের দুর্গাবাটি বুথের সভাপতি সাধন মণ্ডলের দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। বাইকে চড়ে আসে ৩ জন দুষ্কৃতী। বাইক থেকে নেমে সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে তারা। প্রায় ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। সাধন মণ্ডল ছিলেন স্থানীয় আন্ধারমানিক গ্রামপঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৪ বছর। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি যখন পাড়ার চায়ের দোকানে বসেছিলেন, তখন একটি বাইকে করে জনা তিনেক ব্যক্তি আসেন। সাধন তাঁর এক ভাইপোর সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে গল্পে মশগুল ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চায়ের দোকান থেকে মোটামুটি ২০ মিটার দূরে বাইকটি রেখে ওই তিনজন নেমে এগিয়ে আসে। প্রথমে তাদের একজন চায়ের দোকানে ঢুকে বন্দুক বের করে। তাতেই উপস্থিত থাকা লোকজন তৎক্ষণাৎ এদিক ওদিক পালিয়ে যান। এরপরই সাধনের ওপর গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “ও চায়ের দোকানে বসেছিল, পাশে আরও দু’জন বসেছিল। হঠাৎ দু’ তিনজন বাইক নিয়ে এল। ওর থেকে সামান্য দূরে বাইকটা রেখে ওর সামনে দাঁড়াল। কোনও কথা না বলে একজন দোকানের ভিতর ঢুকে গেল। মেশিন দেখিয়ে বাকিদের ওখান থেকে সরিয়ে দিয়ে পর পর গুলি করল। মরেনি বলে আবার গুলি করল। মুখ থেকে গুলি করা শুরু করে। এরপর বুকে গুলি করে। ও তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিল।”
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। আন্ধারমানিক গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকায় সাধনের যথেষ্ট নামডাক ছিল। সংগঠনকে শক্ত করতেও তাঁর হাত ছিল যথেষ্ট। শীঘ্রই আসছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-
ভারতে জ্বালানির দর আপাতত স্থিতিশীল, বঙ্গে কোন জেলায় আজ সবচেয়ে বেশি তেলের দাম?
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য, জেলায় জেলায় কুয়াশার দাপট
ইউক্রেন-আক্রমণের জন্য পুতিন সরকারকে আর্থিকভাবে সামলেছিলেন মারিনা ইয়ানকিনা, হঠাতই বহুতলের নীচে পাওয়া গেল তাঁর মৃতদেহ