দুই বছর পরে অর্থৎ ২০১৮ সালে ১২ মার্চ প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত প্যানেল। ২৮ মার্চ প্যানেলভুক্তদের মেধাতালিকা প্রকাশ।
517
নিয়োগ করা হয়
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক (২৫৭৫২) নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৯ অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় তিন বছর পরে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্র।
617
দুর্নীতির অভিযোগ
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার বছর আর নিয়োগের মাত্র দুই বছরের মধ্যেই উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ২০২১ সালে।
717
মামলা দায়ের
প্রথম বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ ওঠে, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে যথেচ্ছ দুর্নীতি হয়েছে।
817
সিবিআই তদন্ত
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতির প্রায় ১০টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
917
হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের কিছু রায় স্থগিত করে দেয় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে আবার সিঙ্গল বেঞ্চের বেশ কিছু রায় বহাল রাখে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
1017
বেঞ্চ গঠন
সেই সময় একাধিক নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তারপরই ২০২৩ সালে ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বুসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি গঠনের নির্দেশ দেয়। সেখানেই হত শুনানি।
1117
কলকাতা হাইকোর্টের রায়
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি শুরু।
1217
রায়দান
মার্চ মাসের মধ্যে ১৭টি শুনানি হয়। ২২ এপ্রিল ২৮২ পাতার রায় ঘোষণা করা হয়। সেখানেই প্রথম চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। পাশপাশি বেতন ফেরতেরও কথা বলা হয়েছিল।
২০২৪ সালের ৭ মে হাই কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর বেআইনি ভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিদের পুরো বেতন ফেরত দিতে হবে। বেআইনি চাকরি প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদের ছাড়পত্রও দেয় সিবিআইকে।
1517
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ২০টি শুননি হয় সুপ্রিম কোর্টে। ৪০০ আইনজীবী মামলায় অংশ নেন।
1617
রায় ঘোষণা স্থগিত
০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। রায় ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত।
1717
আজ রায় ঘোষণা
আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ২০১৬ সালে পুরো প্যানেলই বাতিল হল। অর্থাৎ চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার।