১০ মাস সুকান্ত মজুমদারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি? তুমুল জল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

BJP state president: বর্তমানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁকেই রাজ্য সভাপতির কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে। 

আগামী বছর ভোট

আগামী বছর, ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তা করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

মেয়াদ শেষ

বর্তমানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁকেই রাজ্য সভাপতির কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে।

বিজেপির এক ব্যক্তি এক পদ নীতি

বিজেপি এক ব্যক্তি এক পদ নীতেতে সিলমহর দিয়েছে। কিন্তু সুকান্ত বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। আর রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তাই বিজেপি শিবিরে গুঞ্জন ছিল তাঁকে সরিয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি করছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব।

দিল্লি-কলকাতা যাতায়াত

সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বর্তমানে তাঁকে দিল্লি-কলকাতা দৌড়াতে হয়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কতটা রাজ্যে সময় দিতে পারবেন সেই প্রশ্নও উঠছে।

নির্বাচনের বাকি ১০ মাস

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন পাখির চোখ বিজেপির। কিন্তু এখনও বিজেপি ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি। এই অবস্থায় সুকান্তের ওপরই দলের একাংশ ভরসা রাখতে চাইছেন।

অন্য সভাপতি

বিজেপি শিবিরের একাংশের দাবি এই পরিস্থিতিতে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হলে তাঁর পক্ষে ঘর গোছাতে অনেকটা সময় লাগবে। পাশাপাশি বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল মাথা চাড়া দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই সুকান্তের হাতেই ব্যাটন রাখতে চান অনেকে।

প্রশ্ন সময় নিয়ে

কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে সুকান্তর সময় নিয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি- দুটি গুরুদায়িত্ব। তাই দলকে কতটা সময় দিতে পারবেন তাই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সুকান্ত নীরব

রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন তিনি দলের একজন সৈনিক। দলের নির্দেশেই তিনি কাজ করবেন।

কোনঠাসা দিলীপ

বর্তমানে বিজেপিতে একদমই কোনঠাসা দিলীপ ঘোষ। তিনি কিন্তু রাজ্য বিজেপির সবথেকে সফল সভাপতি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

দিলীপের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ

বিজেপির একাংশের মতে দিলীপ ঘোষের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্য কাউসে সভাপতি করলে আবারও গোষ্ঠী কোন্দল মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই আপাতত ১০ মাস সুকান্তর হাতেই ক্ষমতা থাকবে।

শুভেন্দু-সুকান্ত সম্পর্ক

শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার- রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা। একজন বিধানসভার বিরোধী নেতা। অন্যজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দলকে দুজনেই প্রায় সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দেন। তাদের সমীকরণও ঠিকঠাক বলে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকদের অনুমান।

তাতেই স্বস্তি

আর শুভেন্দু আর সুকান্তর সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই সুকান্তকেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে রেখা দেওয়া হতে পারে বলেও বিজেপির একাংশের নেতাদের অনুমান।