শিশু পাচারকারী সন্দেহে যুবতীকে মারধর, ঘটনাটি অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া এলাকার। এর ফলে এলাকায় উত্তেজনা । পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। এক পুলিশ কর্মীকেও মারধর করা হয়।
রাজ্য জুড়ে বাড়ছে শিশু চুরি বা ছেলে ধরার আতঙ্ক! এটা কী শুধু রটনা! রাজ্যের জায়গায় জায়গায় অলিতে গলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ছেলে ধরার আতঙ্কের কথা। আর এই আতঙ্ক এতটাই বেড়েছে যে ছেলে ধরা সন্দেহে বিভিন্ন জায়গায় নির্দোষরাও মারধোর খাচ্ছে। ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে অশোকনগরে।
শিশু পাচারকারী সন্দেহে যুবতীকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া এলাকার। এর ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। এক পুলিশ কর্মীকেও মারধর করা হয়।
পরবর্তীতে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে আংশিক লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় অভিযুক্ত মহিলাকে। মহিলার কাছে থাকা আধার কার্ড থেকে জানা গিয়েছে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। তবে কি করে তিনি এখানে এলেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন।
ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। বারাসাত দত্তপুকুর এর পর অশোকনগরে শিশু পাচারকারীর সঙ্গে মারধরের ঘটনা। পুলিশের পক্ষ থেকে দুদিন ধরে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে তারপরেও এই ঘটনা।
এই বিষয়ে ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এশিয়ানেট বাংলাকে জানান যে, ছেলে ধরার সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছিল মারধর করা হয়নি পাশাপাশি পুলিশকে মারধর বা মার মুখে জনতা ঘটনা নিয়ে অস্বীকার করে। পাশাপাশি আমরা কথা বলেছিলাম অশোকনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকারের সঙ্গে তিনি জানান পুলিশকে মারধর করা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।