শুভেন্দু বলেন, ‘২০১১ সালে বিজেপির নীরব সমর্থকরা পদ্মচিহ্নে ভোট দেননি। আমি নিজে সাক্ষী রয়েছি, কমিউনিস্টদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ওর প্রত্যেকটা পদে বিচ্যুতি ঘটেছে।’
২০২৪ এর নির্বাচনের আগে থেকেই বাংলার বিজেপির ভালো ফল নিয়ে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শেষ দফা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। এদিন তিনি বলেন এবার তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি।’ কটা বেশি, সেই নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি শুভেন্দু।
কিছুদিন আগে নিজের কোলাঘাটের বাড়িতে হওয়া পুলিশি অভিযান নিয়েও মুখ খোলেন শুভেন্দু। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আয়কর হানার কথা পূর্বাভাস প্রসঙ্গে শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, ‘কলকাতায় ওদের যে আইপিএস অফিসারের রয়েছেন, তারা তো নিজেদের ব্যাচমেটের মাধ্যমে খবর দেওয়ানেওয়া করেই থাকেন। তাই এই ধরনের খবর ওরা পেতেই পারেন। তবে এর জন্য তো আয়কর হানা আটকে থাকবে না।’
বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত যা যা বলেছেন, তার দেওয়া প্রত্যেকটি কথা থেকে মমতার বিচ্যুতি ঘটেছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘২০১১ সালে বিজেপির নীরব সমর্থকরা পদ্মচিহ্নে ভোট দেননি। আমি নিজে সাক্ষী রয়েছি, কমিউনিস্টদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ওর প্রত্যেকটা পদে বিচ্যুতি ঘটেছে।’
বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম প্রধান মুখ অধিকারী বাড়ির এই ছেলে। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর সকলকে অবাক করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে বহু সময়। আমূল বদল এসেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর বিরোধী দলনেতার পদে বসেন শুভেন্দু। এবার লোকসভা ভোটের শেষলগ্নে এসেছে পুরোনো দল নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু। সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের শেষ দফার আগে একেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল নন্দীগ্রাম বিধায়ককে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।