শুক্রবার সিঙ্গুরের গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে টাটা কারখানার এক নম্বর গেট পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি।
রতন টাটাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সিঙ্গুরে অভিনব মিছিল বিজেপির। সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিঙ্গুর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ' বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা হাতে-পায়ে ধরে টাটা কোম্পানিকে ফেরাব। আজ বাঙালি হয়ে ওনার কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাইতে এসেছি।'
শুক্রবার সিঙ্গুরের গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে টাটা কারখানার এক নম্বর গেট পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। মাত্র ৬০০ মিটার রাস্তা পদযাত্রা করে। বিজেপির নেতা কর্মীদের হাতে ছিল রতন টাটার ছবি লাগান পোস্টার। টাটাদের কারখানা মাঠের মধ্যেই মঞ্চ বেঁধে শোকর সভার আয়োজন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য রতন টাটাই ছিলেন সিঙ্গুরের টাটা কারখানা তৈরির মূল উদ্যোক্তা। কিন্তু তাঁকে ফিরতে হয় খলি হাতে। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, বুদ্ধবাবু টাটা করখানার উদ্যোগী ছিলেন। মমতা সেই সময় ১৬ দিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পর্দা টাঙিয়ে খেয়েছে। সেই সময় বুদ্ধবাবু যদি মেরে তুলে দিলে বাংলার এই ক্ষতি হয়নি। শুভেন্দু আরও বলেন, সেই সময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। ৩০ জন তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে একমাত্র তিনি বিরোধী ছিলেন। কিন্তু একা হওয়ার জন্য কোনও কথা বলতে পারেননি। সেই সময় তাঁর বুকের ভিরত জ্বলে যাচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, ধর্মতলার অনশন মঞ্চে সেই সময় তিনি ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, সিপিএম আর পারবে না। ওরা সিপিমূল। তিনি আরও বলেন ২০২৬ সালের মধ্যে সিপিএম ও তৃণমূলকে নির্মূল করতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের ক়ড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। শুভেন্দু অধিকরীকে তিনি বেইমান ও বিশ্বাসঘাতক বলেও চিহ্নিত করেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার জমির চরিত্র বদল করার চেষ্টা করছে। যে জমির কথা শুভেন্দু বলেছেন, সেগুলি স্থানীয় কারখানার জমি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।