শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গতে এক জনই বাংলার মেয়ে রয়েছে। যাকে নৃশংসাতা ছুঁতে পারে না। অন্যনা রয়েছে পুলিশের হাতে অপমানিত হওয়ার জন্য।
'পশ্চিমবঙ্গে একজন মাত্র বাংলার মেয়ে রয়েছেন যিনি নৃশংসতা থেকে মুক্ত।' বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দ অধিকারী তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের। গোটা ঘটনার ভিডিও আপলোড করে তিনি একহাত নেন রাজ্য সরকারকে। দিন দুই আগের ঘটনা, এক কিশোরীকে চুলের মুটি ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলে এক পুলিশ কর্মী। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই শুভেন্দু রাজ্যে নারী নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।
শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গতে এক জনই বাংলার মেয়ে রয়েছে। যাকে নৃশংসাতা ছুঁতে পারে না। অন্যনা রয়েছে পুলিশের হাতে অপমানিত হওয়ার জন্য। বাঁকুড়ার কোতুলপুর-জয়পুরের ওসি ট্রাফিক এক নাবালিকার চুলের মুটি ধরে প্রকাশ্য়েই গাড়িতে তোলে। নাবালিকার মেয়েটি যদি কোনও অন্যায় বা অপরাধও করে তাহলেও তার সঙ্গে কোনও পুলিশ কর্মী এমন আচরণ করতে পারে না। প্রশাসন রীতিমত বর্বর হয়ে উঠেছে। তবে এই রাজ্যের সরকারের চোখ শুধুমাত্র মণিপুরই দেখছে।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরে কয়েক দিন আগে প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল এক নাবালিকা। পরিবারের সদস্যরা থানায় ডায়েরি করে। বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন নাবালিকাকে কোতুলপুর মোড়ে দেখতে পায়য পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি হয়নি। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশের ওটি ঘটনাস্থলে এসে কিশোরীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কিশোরীর চুলের মুটি ধরে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না। যা নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছে। একজন মহিলার গায়ে কখনই হাত দিতে পারে না কোনও পুলিশ কর্মী। তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অনেকেরই প্রশ্ন একজন পুলিশ কর্মী কী করে এক মহিলার চুলের মুটি ধরে নিয়ে যেতে পারে। আগেই বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল। বর্তমানে মণিপুরের মহিলা নির্যাতন নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কথা তুলে ধরেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি মমতার নাম উল্লেখ করেননি।