শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
ইডির আতশকাচের তলায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ভাই ও জামাই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডির হাতে। শুধু মানিকের অ্যাকাউন্ট থেকে নয় টাকার লেনদে হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যর ভাই ও জামাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকেও। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনটাই দাবি করল ইডি। শুধু তাই নয় ছেলের সঙ্গে থাকা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকেও চলেছে টাকার লেনদেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সংক্রান্ত বিষয় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় টাকা লেনদেনের জন্য একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন মানিক। তালিকায় উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়কের ভাই ও জামাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ব্যবহৃহ হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের সঙ্গে থাকা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের নামও। উল্লেখ্য এই অ্যাকাউন্ট মানিক নিজেই চালনা করতেন।
এর আগেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল মোট ৬টি সিডি। সেই সিডিতেই এতজন চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। কেবলমাত্র নামই নয়, তার সঙ্গে প্রার্থীদের রোল নম্বরও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। মানিকের বাড়ি তল্লাশি করে একাধিক নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ১৪৮ পাতার একটা ‘মানি রিসিট বুক’, যেটিতে সংস্থার নাম লেখা আছে ‘অ্যাকুয়ের কলসাল্টেন্সি সার্ভিসেস’। উক্ত সংস্থাটি রেজিস্টার্ড রয়েছে মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যর নামে। এগুলি ছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি আইফোন-সহ মোট ২টি মোবাইল।