
টেট নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কোনদিকে এগোচ্ছে তদন্ত? নতুন করে কি উঠে আছে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নাম? সিবিআই-এর তদন্তের অভিমুখ সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এদিন সিবিআই-এর আইনজীবীর কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান টেট দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি ছাড়া আর কার কার নাম উঠে এসেছে? এখনও কি কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে? শুধু তাই নয় তদন্তের মাধ্যমে নতুন করে কোনও মধ্যস্থতাকারীর নাম উঠে আসছে কি না সেই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করেন তিনি।
বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই-এর আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্ত আগের থেকে অনেকটাই এগিয়েছে। তদন্তের সূত্রে বেশ কিছু নতুন নামও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে। তবে তদন্তের সার্থেই এক্ষুনি জনসমক্ষে তাঁদের নাম জানানো যাবে না বলেও জানিয়েছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। এবিষয় তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আদালতকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিবিআই আধিকারিকদের এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ যত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই হোক না কেন, তদন্তের সার্থে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা, প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা সিবিআই-এর দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'সিবিআই-এর তদন্ত যেন কোনও ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে না চলে।' জবাবে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় তদন্ত নিজের গতিতেই এগোচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দিদের আদালতকে না জানিয়ে জামিন দেওয়া যাবে বলেও ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকাই বলপূর্বক বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত জোড় করেই টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় চাকরীপ্রার্থীদের। ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেওয়া হয় ৮৪ ঘন্টার আন্দোলন। ঘটনা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার রাতের করুণাময়ী। তবে পুলিশি ধরপাকড়ের সামনে মাথা নোয়ায়েনি আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে ফের করুণাময়ীতে নতুন করে জমায়েত করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ।
আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের সমর্থনে এগিয়ে আসে বাম ছাত্র-যুবরাও। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বলপূর্বক আন্দোলনরত চাকরীপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে জোড় করে তোলার প্রতিবাদে সল্টলেক সিটি সেন্টার থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা-কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। কিন্তু মাঝপথেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় মিছিল। বিধাননগরের কাছে রাস্তার মাঝেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মীনাক্ষীদের। একের পর এক আন্দোলনকারীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
আরও পড়ুন -
ধর্ষণের বিচার করার জন্য ডেকে প্রেমিককে সঙ্গে হাত মিলিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর
ধর্ষণ রুখতে তালিবানি নিদান, প্রকাশ্যে জনতার সামনে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
গুজরাটে সপ্তমবার সরকার গঠনে মরিয়া বিজেপি, ফিরে দেখুন গতবারের ভোট যুদ্ধের ফলাফল ও বর্তমান ছবি