সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণের সমস্য়া মিটিয়ে দেওয়ার নাম করে পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিক আর তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। প্রেমিক পুলিশের জালে।
রক্ষকই যেন ভক্ষক হয়ে উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনার বিচার পেতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক নির্যাতিতা। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খড়গপুরে। নির্যাতিতা তরুণী গোটা ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে। সুবিচারের আসায় মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করে দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশের।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা। ধর্ষণের অভিযোগের মিমাংসা করে দেওয়ার নাম করে নির্যাতিতাকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠায় খড়গপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকেশ হুমন। তারপর নির্যাতিতার প্রেমিক ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর নির্যাতিতাকে পুরো ব্যাপারটা চেপে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে খুন করে দেওয়ারও হুমকি দেয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে গোটা বিষয়টির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও কাউকে পাকড়াও করেনি পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তরাও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর নির্যাতিতার স্বামী বছর পাঁচেক আগেই মারা যায়। তারপর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময়ই আলাপ হয়েছিল এস অরবিন্দ রাওয়ের সঙ্গে। পরবর্তীকালে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। অরবিন্দ রাও নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারপরই একাধিকবার নির্যাতিতার সঙ্গে সহবাস করে বলে অভিযোগ। কিন্তু নির্যাতিতা বিয়ের দাবি জানালেই অরবিন্দ রাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরপরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন নির্যাতিতা।
কিন্তু এই অভিযোগ মিটমাট করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খড়গপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কাউন্সিলর মুকেশ হুমন। তাঁরই নির্দেশ মত নির্যাতিতা পার্টি অফিসের গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে তিন জনে মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরই নির্যাতিতা টাউন থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ নির্যাতিতার প্রেমিককে গ্রেফতার করলেও মুকেশ ও তার সাগরেদকে এখনও পাকড়াও করেনি। কিন্তু তারপর নির্যাতিতাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ক্রামাগত হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের কাউন্সিলর। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নির্যাতিতা গত ২১ অক্টোবর এসডিপিওকে লিঠি লেখেন। অবশেষে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানান। নির্যাতিতা বিচারের অপেক্ষায় দিন গুণছেন। তিনি জানিয়েছেন অভিযুক্তিদের হুমকির কারণে তিনি বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। খড়গপুরে থাকাই দুস্কর হয়ে উঠেছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
ধর্ষণ রুখতে তালিবানি নিদান, প্রকাশ্যে জনতার সামনে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
মাঝপথে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসে আগুন, রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে অভিযোগ আতঙ্কিত যাত্রীদেরট