সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণ রুখতে মানুষের মনে ভয় তৈরির কথা বললেন মধ্য প্রদেশের মন্ত্রী উষা ঠাকুর। তিনি ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই বিষয়ে আবেদন করার কথা বলেন তিনি।
ধর্ষণ রুখতে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসির পক্ষেই সওয়াল করলেন মধ্য প্রদেশের মহিলা মন্ত্রী উষা ঠাকুর। তিনি বলেছেন ,এই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিলে তবেই তা অন্যদের প্রভাবিত করবে। অন্যকেউ এইধরনের কাজে লিপ্ত হওয়ার আগে দুইবার ভাববে। আর এজাতীয় অপারাধ করার সাহসও পাবে না।
মধ্যপ্রদেশ ইতিমধ্যেই সাক্ষী থেকেছে নৃশংসতম ধর্ষণের। খাণ্ডোয়া জেলায় সম্প্রতি একটি চার হছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপর তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আখের ক্ষেতে ফেলে দিয়েছিল দুষ্কৃতী। মধ্য প্রদেশে এজাতীয় বর্বর ঘটনার মোকাবিলা করেছে। মধ্য প্রদেশে এখন ধর্ষণের সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭২জন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তেমনই জানিয়েছিলেন রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী। তিনি রাজ্যে ঘটে চলা ধর্ষণের ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারপরই মন্ত্রী বলেন, তাঁর রাজ্যে যখন ধর্ষণের জন্য এত কঠোর সাজা রয়েছে তারপরেই এজাতীয় অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা জরুরি বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমগুলির বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে গণতন্ত্রের চতুর্থস্তম্ভেরও এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা জরুরি।
উষা ঠাকুর বলেন, একজন অভিযুক্তকে কারাগারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাহলে কেউ তা জানতে পারে না। তাই জনমানষে কোনও ভয় তৈরি হয় না। কিন্তু ধর্ষণের অপরাধীকে যদি প্রকাশ্যে সাজা দেওয়া হয় তাহলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় তৈরি হয়। তাতে অপরাধ করার অপরাধী দুই বার ভাববে। তিনি আরও বলেছেন, কোনও যদি প্রকাশ্যে সাজা দেওয়া হয় তাহলে অসদ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও মেয়ের গায়ে হাত দেওয়ার আগে দুইবার ভাববে। পাশাপাশি খাণ্ডোয়ার দুই অভিযুক্তকেও বিচারের পর প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানান। পাশাপাশি এই বিষয়ে জনগণের সমর্থনও চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন রাজ্যের মানুষ যদি চায় তাহলে ধর্ষণকদের পাব্লিক প্লেসে ফাঁসি দেওযার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানকে অনুরোধ করতেও পিছপা হবেন না।
খান্ডোয়া ধর্ষণ
খান্ডোয়া জেলার মাত্র ৪ বছরের একটি শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে আখের ক্ষেতে ফেলে দিয়ে গেল বর্বর এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার তেমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে শিশুতে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এক জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মেয়েটি যেদিন তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল সেই দিনও এই ব্যক্তি সেখানে একটি খাটা ভাড়া করার জন্য দিয়েছিল। সন্দেহভাজনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে সেই মেয়েটিকে সোমবার ভোর রাতে বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে যায়। বাড়ির কাছেই একটি মাঠে ধর্ষণ করে। আর প্রমান লোপাট করার জন্য মেয়েটিকে আখ ক্ষেতের ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। ধৃত আরও জানিয়েছে তার অনুমান ছিল শিশুটি মারা গেছে। সেই কারণে সে সেইভাবেই ফেলে দিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে শিশুটিকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশ অপহরণ, ধর্ষণ , খুনের চেষ্টা, ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুনঃ
সেনাবাহিনীর জমিতে কেলেঙ্কারি, কলকাতা ও সল্টলেকে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান ইডির
গুজরাটে সপ্তমবার সরকার গঠনে মরিয়া বিজেপি, ফিরে দেখুন গতবারের ভোট যুদ্ধের ফলাফল ও বর্তমান ছবি