ঘরের শত্রু বিভীষণ হতে চলেছে রেখা পাত্রের জন্য! ইঙ্গিত কিন্তু তাই বলছে। প্রকাশ্যে রেখার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন। মিছিল করছেন, প্রচার করছেন। তাঁরা মনে প্রাণে চাইছেন হেরে যান রেখা পাত্র।
সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাতারাতি হেভিওয়েট তকমা সেঁটে দেওয়ার চেষ্টা হয় রেখা পাত্রের নামের পাশে। তাঁকে বসিরহাটের লোকসভা আসনের প্রার্থী বানিয়ে কার্যত চমকে দিতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর সন্দেশখালির আন্দোলনের মাটি এখন রেখা পাত্রের জন্য কাঁটা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে নেমে ঘরে-বাইরে শত্রু বানিয়ে ফেলেছেন রেখা। বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের একাধিক সদস্যই এখন চেষ্টা করছেন রেখাকে হারাতে।
তাহলে কি ঘরের শত্রু বিভীষণ হতে চলেছে রেখা পাত্রের জন্য! ইঙ্গিত কিন্তু তাই বলছে। প্রকাশ্যে রেখার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন। মিছিল করছেন, প্রচার করছেন। তাঁরা মনে প্রাণে চাইছেন হেরে যান রেখা পাত্র। কিন্তু কেন! কেন এ ধরণের বিপরীত প্রচার ও মনোভাব। স্পষ্ট জানালেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সুজিত পাত্র ওরফে বাপন সম্পর্কে রেখা পাত্রের খুড়তুতো দেওর। রেখা পাত্রের সঙ্গে মুখোমুখি টক্করে রয়েছেন এই বাপন। সুজিত পাত্রের বক্তব্য, "বউদির মনে হয়েছে বিজেপি করবে, তাই করছে। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করি। স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এখন তো সরকার সব দাবি মেনে নিয়েছে। তাই আমরাও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছি।"
বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন ভক্ত দাস, যিনি আবার রেখার খুড়তুতো ননদের স্বামী। সম্পর্কে জামাইবাবু। বউদি তো বিজেপি প্রার্থী! তাহলে তৃণমূলকে সাহায্য করছেন কেনে! এই প্রশ্নের উত্তরে কার্যত রেগেই গেলেন ভক্ত দাস। তাঁর বক্তব্য, "আমরাই পাত্রপাড়ায় প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমাদের কথায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল রেখা বউদি। তখন তো ধর্ষণের অভিযোগ ছিল না। ন্যায্য পাওনার দাবিতে দলমত নির্বিশেষে আন্দোলন করেছিলাম। তারপর বিজেপির কাছে অনেকে বিক্রি হয়ে গেল। আমরা তৃণমূলে ছিলাম। তৃণমূলেই আছি।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।