বউয়ের ফোনে একটি মেসেজ পাঠিয়ে স্বামী এমন কাজ করল! যুবকের বাবা বললেন 'ভয়ঙ্কর' সত্যি কথাটা

Published : Mar 05, 2025, 12:45 PM IST
Jaipur Crime News

সংক্ষিপ্ত

ওই পরিবারে আর্থিক সমস্যার কথা কখনও শোনা যায় নি। এমনকি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে দাম্পত্য কলহের কথাও কেউ বলতে পারলেন না। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল রাজকুমার এবং জিনিয়ার। তাঁদের একমাত্র সন্তান এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

স্ত্রীর ফোনে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন স্বামী। তারপরেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ব্যবসায়ী যুবক। অভিযোগ, স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। জানা গিয়েছে, ৪৫ বছরের মৃত যুবকের নাম রাজকুমার সাধুখাঁ। স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের হাতারপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে রাজকুমার নামে ওই ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা যায়, মুদির দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি পানীয় জলের ব্যবসা ছিল তাঁর। যুবকের বাবার দাবি, বৌমার অত্যাচারে ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে জিনিয়া সাধুখাঁ নামে ওই গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, ওই পরিবারে আর্থিক সমস্যার কথা কখনও শোনা যায় নি। এমনকি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে দাম্পত্য কলহের কথাও কেউ বলতে পারলেন না। তবে পুলিশের কাছে মৃত যুবকের বাবার দাবি, ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী তার বৌমা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘ আমার ছেলের কাছ থেকে বৌমা সব টাকা কেড়ে নিত। বৌমার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল রাজকুমার এবং জিনিয়ার। তাঁদের একমাত্র সন্তান এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দোকানে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাজকুমার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্ত্রী-র নজরে আসতেই তিনি উদ্ধার করে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন যুবককে। রাজকুমারের বাবার অভিযোগ পেতেই মৃত যুবকের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

পুলিশকে যুবকের বাবা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে দু'জনের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হত। প্রায়ই জিনিয়া টাকাপয়সা কেড়ে নিতেন রাজকুমারের থেকে। টাকা দিতে না পারলে জুটত কটূক্তি। স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই হয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে ছেলে। জিনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের পর এ কী মন্তব্য আব্দুর রহিম বক্সির? দেখুন
আইটিসি সঙ্গীত সম্মেলন ২০২৫ চলছে মহা আড়ম্বরে! সঙ্গীতের মহামঞ্চে সম্মানিত এই কিংবদন্তী শিল্পী