
বাড়িতে ঘুমানোর জন্য বুধবার রাতে মশারি টাঙানোর সময় কেউটে সাপের ছোবল। শরীর অসুস্থ হতেই যুবককে আনা হয় ক্যানিং মহকুনা হাসপাতালে। এমনকি সাপটিকে মেরে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসার পর আপাতত বিপদমুক্ত রয়েছেন যুবক। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ক্যানিংয়ের কুমড়োখালি গ্রামে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের কুমড়োখালি গ্রামে। সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে পড়া যুবকের নাম পালান সর্দার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর অনান্য দিনের মতো বাড়িতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা করছিলেন যুবক। এমন সময় হঠাৎ তিনি অনুভব করেন কিছু একটা দংশন করেছে তাকে। বিষয়টি দেখতে দিয়ে দেখা যায় একটি কেউটে সাপ তাকে ছোবল দিয়েছে । এরপরই মারাত্মক অসুস্থতা বোধ করতে থাকে ওই যুবক। ডাকাডাকি করতেই ছুটে আসে পরিবারের অনান্য সদস্যরা। এরপরই সাপটিকে দেখে সকলেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন । এবং ভয়ে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে দেওয়া হয়। যুবককে সুস্থ করে তুলতে তড়িঘড়ি সকলে তাকে নিয়ে যান ক্য়ানিং মহকুমা হাসপাতালে। সঙ্গে নিয়ে আসা হয় মৃত সাপটিকেও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই যুবককে প্রাথমিকভাবে ১০টি এভিএস দেওয়া হয়েছে । বর্তমানে বিপদ মুক্ত রয়েছেন ওই যুবক।
সাপে দংশন করা ওই যুবক পালান সর্দার জানালেন, তিনি রাতে শুতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন । মশারি টাঙানোর সময় সাপটি তার পায়ে ছোবল দেয়। তিনি জানিয়েছেন , ওই সাপটি কেউটে ছিল। তিনি সকলকে ডাকতেই ছুটে আসে । তারপর সাপটিকে খুঁজে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলা হয়।পরিবারের লোকজন যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় প্লাস্টিকে ভরে মৃত সাপটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, সাপটি চিকিৎসকরা সনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসা আরও ভালো হবে। পরিবারের এই কাণ্ড দেখে রীতিমত অবাক হাসপাতালের কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।