Kalyan-Mahua Controversy: শাসকদলের অন্দরে সাংসদ সংঘাত, কাকে 'ওভার স্মার্ট' বলে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ?

Published : Apr 09, 2025, 04:34 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

TMC News: কল্যাণের নিশানায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এ যেন কিছুতেই কল্যাণ- মহুয়ার চর্চা শেষই হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের সামনে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পর এবার সাংবাদিক বৈঠকেও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

TMC News: এবার কল্যাণের নিশানায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এ যেন কিছুতেই কল্যাণ- মহুয়ার চর্চা শেষই হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের সামনে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পর এবার সাংবাদিক বৈঠকেও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে নিশানা করে বলেন, ''শুধু সুন্দরী হলে আর ফটর ফটর করে ইংরেজি বললেই অপমানের অধিকার মেলে না।'' নাম না করে কটাক্ষ করলেও, তার যে কটাক্ষের তীর মহুয়ার দিকেই ছিল তা স্পষ্ট। তবে একা মহুয়া নয়, কীর্তি আজাদকেও এদিন নিশানা করেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ।

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বলেন, ''সংসদে শুধু নরেন্দ্র মোদী ও আদানির বিরুদ্ধে কথা বলেন ওই মহিলা সাংসদ। আর কারও বিরুদ্ধে কোনও কথা নেই। আর আমি দলের হয়ে সব ক্ষেত্রে লড়াই করি। মানুষের স্বার্থে কথা বলি। তুমি তো এক শিল্পপতির হয়ে আর এক শিল্পপতিকে আক্রমণ কর!'' একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ''সব সহ্য করব, এমন অসভ্যতা সহ্য করব না।''

প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের সাংসদের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে নিয়েও নাকি মন্তব্য করেছেন মহুয়া মৈত্র। এমনকী, তাঁকেও কটূক্তি করেছেন ওই মহিলা সাংসদ। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, ''মহিলা বলে পুরুষদের অপমান করে যাবেন? এই অধিকার তাঁকে কেউ দেয়নি।'' এরপর খোঁচা মেরে বলেন , ''শুধু ইংরেজিতে ফটর ফটর করে গেলেই অপমানের অধিকার মেলে না।'' এছাড়াও মহুয়া মৈত্রের অতীত রাজনৈতিক জীবন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতার বান্ধবী হওয়ার জন্য জেলা রাজনীতিতে উচ্চপর্যায়ে স্থান পেয়েছেন ওই মহিলা সাংসদ।

উল্লেখ্য, দিল্লির রাস্তায় তৃণমূল সাংসদদের বাকযুদ্ধের ভিডিও পাশাপাশি সাংসদদের গ্রুপের চ্যাটও ভাইরাল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কল্যানের ধারণা, বাইরে থেকে আসা কোনও তৃণমূল সাংসদই এই ভিডিও ভাইরাল করেছেন। তিনি বলেন, ''ভিডিওটা আমাদেরই একজন সাংসদ, যে বাইরে থেকে এসেছে, সেই বাজারে ছেড়ে দিয়েছে।'' এর একটা নেপথ্য কারণ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, কীর্তি আজাদ কয়েকজন মহিলা সাংসদ, দু’চার জন পুরুষ সাংসদের চিঠি নিয়েছিল। স্পিকারের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, চিত্তরঞ্জন পার্কের সন্দেশের দোকানের কাউন্টার খোলা হোক সংসদে।

এ বিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর কথায়, ''তৃণমূল বেসরকারি ব্যবসাতে আগ্রহী নয়। আমাকে বলা হয়, ব্যক্তিগত বিষয়! তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ হয়েছে। সাংসদদের সই সংগ্রহ করছে। ব্যক্তিগত বিষয় হল কী করে? চিঠি জমা দিতে পারেনি। তাই আমার উপর রাগ।'' যদিও বিষয়টি নিয়ে মহুয়া বা কীর্তির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

ছুটির দিনে মহানগরের পারদ পতন, শীতে জবুথবু কলকাতায় আর কতটা নামল তাপমাত্রা?
Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের