২০১১ সালে রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়া থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ক্রমপর্যায়ের উন্নতির কথা উল্লেখ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ভাবে মানুষের সমর্থন আদায় করার জোরালো ছক কষছে বঙ্গের শাসক ও বিরোধী গোষ্ঠী। একপক্ষ যখন লেগে পড়েছে বিভিন্ন জনসংযোগের কর্মসূচিতে, অপরপক্ষ আবার তৈরি হচ্ছে বিবিধ অভিনব উপায় অবলম্বনে। এমনই এক অভিনব উপায় হল রাজ্যের মানুষের কাছে সরাসরি দলের আশ্বাস পৌঁছে যাওয়া। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই সেই পথে এগোতে চলেছে শাসক শিবির। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যের নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি। মানুষের কাছে এই চিঠি পৌঁছে দেবেন ‘দিদির দূত’।
দলীয় সূত্রে খবর, এই চিঠিতে লেখা থাকবে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব বক্তব্য, “২০১১ সালে আপনি যখন এই রাজ্যের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির মহান দায়িত্ব আমার কাঁধে অর্পণ করেছিলেন তখন এই রাজ্য সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে ছিল বিধ্বস্ত। এই রাজ্য হয়ে উঠেছিল নিঃস্ব, এবং রাজ্যে দেখা দিয়েছিল এক চরম নৈরাশ্য। তারপর থেকে, সেই গুরুদায়িত্ব যথার্থভাবে এবং নিষ্ঠা সহকারে পালন করার জন্য আমি নিত্যদিন চেষ্টা করেছি। প্রতিটি মুহূর্ত এই স্বপ্ন দেখে এগিয়ে চলেছি যে, রাজ্যের প্রতিটি অংশের মানুষ যেন নিরাপদে, সুস্থভাবে এবং আনন্দে জীবন-যাপন করতে পারে।”
সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চলেছেন, “বাংলার জন্য আমি যে স্বপ্ন বুনেছিলাম, সেই স্বপ্নই আমাকে এমন কিছু প্রকল্প আনতে অনুপ্রাণিত করেছে, যাতে আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ সুরক্ষা বেষ্টনীতে আবৃত থাকে। সেই লক্ষ্যে আমি শিক্ষা থেকে চাকরি, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে আবাসন এবং খাদ্য থেকে সামাজিক সুরক্ষা, সবক’টি ক্ষেত্রেই এমন কিছু প্রকল্প তৈরি করেছি, যা আপনার জীবনকে একটি সামগ্রিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখবে, তা হল আমার 'সুরক্ষা কবচ'। এই সুরক্ষা কবচের মধ্যে ১৫-টি মূল প্রকল্প রয়েছে, যা আপনার জীবনের সামগ্রিক মানোন্নয়নের জন্য আগে থেকেই অক্লান্ত পরিষেবা দিয়ে আসছে। এই সুরক্ষা কবচ বাংলার সকল বাসিন্দাকে নিরাপদ রাখার জন্য আমার প্রচেষ্টার একটি স্বীকৃতি এবং উন্নয়নের অগ্রগতির সাক্ষ্য।”
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখা চিঠিতে এও বলা হবে, “আপনি এবং আপনার পরিবার আমার সুরক্ষা কবচের আওতায় যে সদা সুরক্ষিত আছেন তা নিশ্চিত করার জন্য আমি আমার বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হিসাবে আমার দূত আপনার বাড়িতে প্রেরণ করছি। আমি অনুরোধ করছি, আপনি তাঁকে বা তাঁদেরকে আপনার বহু মূল্যবান সময় দিয়ে সাহায্য করবেন এবং যদি আপনার কোনো প্রশ্ন, কোনও অভাব-অভিযোগ বা কোনওরকম সমস্যা থাকে, তবে তা অনুগ্রহ করে আমার দূতকে জানিয়ে দেবেন। আমি পূর্ণ আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনার সমস্ত অভাব-অভিযোগ আমি ব্যক্তিগত স্তরে শুনব এবং তা সমাধান করব।”
আরও পড়ুন-
ব্রিটেনে ‘স্যার’ উপাধিতে ভূষিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলোক শর্মা, নাইটহুড দিলেন রাজা তৃতীয় চালর্স
৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি হয়ে যেতে হবে, আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের প্রতি ফের কড়া কেন্দ্র সরকার
হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দমাতে গিয়ে ইরানে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু, কড়া হুঁশিয়ারি দিল রাইসির সরকার