কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপকের বাড়ি তৈরি না হলে, সমস্যায় পড়তে পারে রাজ্য সরকার। ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি না-করার পরিণতি কী হতে পারে, সেটাও উপভোক্তাদের জানাতে চায় রাজ্য প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে আগেই সতর্ক হয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেই সতর্কতা মেনে রাজ্য প্রশাসনকে বাড়তি কড়াকড়ির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশ অনুযায়ী নবান্নের তরফেও এ বার সময়সীমা মেনে বাড়ি তৈরি করতে বলা হচ্ছে উপভোক্তাদের। এমনকি ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে, এমন মুচলেকাও উপভোক্তার কাছ থেকে নেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নবান্ন।
কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ ছিল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে ভুয়ো উপভোক্তাদের বাদ দিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন চূড়ান্ত করতে হবে। এ বার কেন্দ্র আবার শর্ত দিয়েছে যে, এ-পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া প্রায় ১০.২৯ লক্ষ বাড়ি তৈরি করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে। তাই উপভোক্তাদের সতর্ক করে এখনই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরি করার মূল দায়িত্ব উপভোক্তারই। অনেক সময় এমনও হয়ে থাকে যে, টাকা পাওয়ার পরেও বিভিন্ন কারণে উপভোক্তারাই দেরি করছেন। এ বার কেন্দ্র সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় তার মধ্যেই বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে প্রাপকদের, সেই কারণে বেশ তাড়াহুড়োয় রয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপকের বাড়ি তৈরি না হলে, সমস্যায় পড়তে পারে রাজ্য সরকার। এর ফলে পরবর্তী আবাস যোজনার কোটা পেতেও সমস্যা হতে পারে। সোমবার এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতেই হবে, এর সঙ্গে নবান্নের লিখিত নির্দেশনামাও মানতে হবে।
নবান্নের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাড়ি তৈরির কাজে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হল, উপভোক্তাদের গড়িমসি এবং কিস্তির টাকা সময়ে না পাওয়া। এই দু’টি বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশ, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরের সব উপভোক্তার সঙ্গে সিনিয়র অফিসারেরা বৈঠক করে কেন্দ্রের নিয়মবিধি ব্যাখ্যা করবেন। ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি না-করার পরিণতি কী হতে পারে, সেটাও জানাবেন তাঁরা। স্থির হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার ৪০ দিনের মধ্যে বাড়ির জানলা পর্যন্ত নির্মাণ করতে হবে। পরবর্তী কিস্তির ৩৫ দিনের মধ্যে কাজ হবে ‘লিন্টেল’ বা জানলার উপরিভাগ পর্যন্ত। তার পরের কিস্তির ১৫ দিনের মধ্যে ঢালাই-সহ বাড়ি তৈরির সামগ্রিক কাজ শেষ করতেই হবে।
আরও পড়ুন-
ব্রিটেনে ‘স্যার’ উপাধিতে ভূষিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলোক শর্মা, নাইটহুড দিলেন রাজা তৃতীয় চালর্স
হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দমাতে গিয়ে ইরানে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু, কড়া হুঁশিয়ারি দিল রাইসির সরকার