সংক্ষিপ্ত

মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন এখনও পর্যন্ত দেশে মোট তিন জন নিরাপত্তাকর্মী প্রাণ হারালেন। 

হিজাব না-পরায় ইরানের ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে। তার পরেও দেশ জুড়ে চলছে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন ইরানে আবারও গুলি লেগে মৃত্যু হল এক নিরাপত্তাকর্মীর। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের সেমিরমে। মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন এখনও পর্যন্ত দেশে মোট তিন জন নিরাপত্তাকর্মী প্রাণ হারালেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তেহরান থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে সেমিরম ও ইসফাহান অঞ্চলে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন অগুন্তি মানুষ। প্রধানত সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগিয়েই এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। প্রতিবাদের খবর সরকারি মহলে পৌঁছে যেতেই বিক্ষোভস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠায় সরকার। বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিবাদীদের আন্দোলন রোখার জন্য সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে জোর চেষ্টা চালাতে থাকেন।

আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করতেই শুরু হয় নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তি। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকেন। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদীরাও পাল্টা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই মারামারির মধ্যেই প্রতিবাদীদের দিক থেকে আসা একটি গুলি একজন নিরাপত্তাকর্মীর গায়ে এসে লাগে বলে সরকারি মহলের দাবি। ঘটনাস্থলেই আহত পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরানের ইব্রাহিম রাইসির সরকারের পক্ষ থেকে জোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, ‘দাঙ্গাবাজদের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতিবাদীদের ‘দাঙ্গাবাজ’ বলা ছাড়াও তাদেরধরতে পারলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছে প্রশাসন।

গত সেপ্টেম্বরে হিজাব ঠিকমতো না-পরায় মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করে ইরানের নীতিপুলিশ। গ্রেফতারির সময়ে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় মাহসার। অভিযোগ ওঠে, হেফাজতের অন্দরে পুলিশের প্রচণ্ড অত্যাচারের জেরেই মাহসা মারা গিয়েছেন। মাহসার মৃত্যুর পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইরানের নাগরিকেরা। সেই থেকেই নিয়মিত চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।


আরও পড়ুন-
আকাশে উড়তে থাকাকালীনই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দু’টি হেলিকপ্টার, অস্ট্রেলিয়ায় প্রাণ হারালেন ৪ জন
স্কুলের অন্দরেই ছাত্রছাত্রীদের মিলবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের