'অভিষেক ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে', কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের তোপ মমতার

কাকদ্বীপের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি বাম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন এই রাজ্যে অনেক শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।

 

Saborni Mitra | Published : Jun 16, 2023 11:06 AM IST / Updated: Jun 16 2023, 07:49 PM IST

২ বছর থেকেই অভিষেক রাজনীতি করে। কাকদ্বীপে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নিশানা করলেন সিপিএমকে। তিনি বলেন অভিষেকের রাজনীতি নিয়ে অনেকেই তাঁদের নিশানা করেন। তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিতে পরিবারতন্ত্রেরও অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব এদিন মমতা কাকদ্বীপের জনসভা থেকেই দেন। তিনি বলেন, 'অভিষেক ২ বছর বয়স থেকেই রাজনৈতি করে।' এখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, ' সিপিএম যখন আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল আমি হাসপাতালে ছিলাম। তারপর যখন বাড়ি ফিরলাম তখন আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কী করে এই ঘটনা ঘটল। আমি মাকে সমস্তটাই বলেছিলেন। অভিষেক তখন মায়ের কোলে বসে সবকিছু শোনে। তারপর থেকেই অভিষেক একটা ঝান্ডা নিয়ে বাড়িতে মিছিল করত আর বলত দিদিকে মারলে কেন সিপিএম জবাব দাও।'এদিন তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সাফল্যের জন্য মমতা অভিষেককে তাঁর ও তাঁর মায়ের সঙ্গে একটি ছবিও উপহার দেন। ,

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম-এর বিরুদ্ধে একাধিক অথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথাও জনসভা থেকে স্মরণ করিয়ে দেন। মমতা আরও বলেন, কলমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় গোসাবা বাসন্তীর সবথেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারকেও সাহায্য করা হয়েছে। তিনি বলেন তৃণমূলের আমলে বাংলার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কোনও রাজ্যে এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন হয় না। ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি। সেখানে তার দলের লোকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সর্বদা সরব থেকেছে। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে একাধিকবার এই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। তাতেও মৃত্যু আটকানো যায়নি। কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেন। মমতা বলেন আজ বিরোধীরা বলছে বাংলায় শান্তি নেই। কিন্তু সিপিএম-এর আমলে বাংলায় ছিল শ্মশনার শান্তি। মমতা বলেন বাংলায় সব মিলিয়ে ২ লক্ষ ৩১ হাজার বেশি মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। অন্য কোনও রাজ্যে তা হয়নি। তৃণমূল ৮২ হাজার মনোনয়ন দাখিল করেছে।

এদিন মমতা জোট নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন বাংলায় সিপিএমএর সবথেকে বড় দোসর কংগ্রেস। কেন্দ্রে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে কংগ্রেস। আর সংসদে কংগ্রেস তৃণমূলের সহযোগিতা চায়। এদিন কাকদ্বীপ থেকে মমতা বলেন, কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেসকে তৃণমূল পূর্ণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু বাংলায় যারা সিপিএমকে সহযোগিতা করে তাদের কোনওভাবেই তৃণমূল সহযোগিতা করবে না। মমতা এদিন আরও বলেন, তাঁর আমলে এই রাজ্যে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আগামী দিনে প্রচুর কারখানা তৈরি হবে। রাজ্যে প্রচুর চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এদিনও মমতা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে নাম না করে নিশানা করেন। তিনি বলেন এরা বিজেপি থেকে টাকা নিয়ে নেতা হচ্ছে। আর রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ

নজিরবিহীন রায় কলকাতা হাইকোর্টের, বসিরহাটের বিজেপির ৬০ প্রার্থীর মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ

দেশে দাঙ্গার সংখ্যা ক্রমশই নিম্নগামী, NCRB -র তথ্য তুলে ধরলেন মোদী সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য

সঞ্জয় রাউতের হুমকি ফোনকলে গ্রেফতার ১, কিন্তু অভিযুক্তর বয়ানে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

 

Read more Articles on
Share this article
click me!