অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে দিলীপ - ফিরহাদ তরজা। অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলে আছে কি নেই তাই নিয়ে দুই রাজনীতিবিদের মন্তব্য।
অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন না গেছেন? তাই নিয়েই দুই তরফে তরজা তুঙ্গে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছাঁটতে মাত্র সাত দিন সময় নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসস সেখানে অনুব্রতর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ মাস লেগে গেল। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা জাবাব দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ বোকা বোকা কথা বলছেন।
অনুব্রত মণ্ডল ইস্যু
আজ থেকে চার দিনের জেলা সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় রয়েছে বীরভূমের নাম। অনুব্রতহীন বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমে প্রচুর হোডিং, পোস্টার, আর কাটআউট লাগান হয়েছে। কিন্তু সেখানে ঠাঁই পাননি অনুব্রত। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলার অন্দরে গুঞ্জন অনুব্রতে ধীরে ধীরে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।
দীলিপের মন্তব্য
বীরভূমের তৃণমূলের প্রচারে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে সরব হয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকের সময় দীলিপ ঘোষ বলেন পার্থ বাবুকে ছাঁটতে সাত দিন নিয়েছিল। কেষ্টকে ছাটতে সাত মাস লাগল। কারণ, একজনের কাছে সাড়ে তিনশো কোটি এবং আরেক জনের কাছে সাড়ে পাঁচশো কোটি আছে। এই দলে যে যত টাকা তুলে দেয়, তার গুরুত্ব তত বেশি। বাঘ খাঁচায় ঢুকে গেছে। এখন শিয়াল, খ্যাঁকশিয়াল ধরা পড়ছে। এগুলো সব টেন পার্সেন্ট এর লোক। যারা আশি নব্বই পার্সেন্ট নিয়েছে, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধরা না পড়বে, এর মুলে পৌছান যাবে না। আরও অনেক ক্লু পাওয়া যাবে।
ফিরহাদের মন্তব্য
এদিন ফিরহাদ হাকিমকে অনুব্রত নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিজেপি অনুব্রতকে নিয়ে যেসব কথা বলছে তা খুবই বোকা বোকা। তাঁর কথায়, কেউ কাউকে ছাঁটে না। মানুষ যার সঙ্গে থাকে সেই নেতা। অনুব্রত আমাদের নেতা। আমাদের ওখানকার প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়নি। ওয়েলকাম ব্যানারে অনুব্রত ছবি না থাকা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ওয়েলকাম হোডিংএ তাদের নাময়ই দেওয়া হয় যারা সেখানে উপস্থিত থকেন। তাঁর নাম রয়েছে০ কারণ তিনি থাকছেন। অনুব্রত থাকতে পারছেন না তাই তাঁর নাম দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
মোটকথা অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার যে রব বিজেপি তুলতে চাইছিল তারে রীতিমত জল ঢেলে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুনঃ
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে কঠোর প্রশাসন, শুক্রবার ভোর থেকে অভিযানে পুলিশের জালে ১৮০০ জন