সংক্ষিপ্ত
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ ক্রমশই চড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জারি করা বিজ্ঞপ্তির কড়া প্রতিক্রিয়া বুদ্ধিজীবীদের।
জেলা সফরি বীরভূমে গিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্যকে এক হাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে একটি বিবৃতি জারি করে বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ। তাতে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই বিবৃতির ভাষা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেদিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহল। রাজ্যের শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতির তীব্র নিন্দা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় গত পয়লা ফেব্রুয়ারি জারি করা বিবৃতিতে বিশ্বভারতীর সাত জন প্রতিবাদী ছাত্র ও একজন অনুষদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের শাস্তিমূলত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথ্য যাচাই না করেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দিয়েছেন।
বিশ্বভারতীর এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকালী সেন বলেছেন, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের জায়গার সঙ্গে আমার ৪০ বছরের যোগাযোগ। কোনও দিন আমি এমন বিবৃতি দেখিনি। এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ভিসি (বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এমন একটা চিঠির খসড়া তৈরি করতে পারেন। এটি খুবই নিম্নরুচির।'
কৌশিক সেন বলেছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতি পাড়ার ক্লাবের দাদাগিরির মত শোনাচ্ছে। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন বিবৃতি জারি করতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেছেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এজাতীয় শব্দ ব্যবহার করাটা রাস্তার ঝগড়ার মতোই শোনাচ্ছে। এটা খুবই লজ্জার বিষয়।
লেখক ও অধ্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেছেন, একজন ভিসি যিনি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদে আছেন তিনি এমন ভাষায় বিবৃতি জারি করতে পারেন না।
আশ্রমিক ও ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর অভিযোগ করেন , উপাচার্যের মতামতের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে না পারলেই সমস্যা। সংশ্লিষ্টদের আক্রমণ করতে কুসুর করেন না তিনি।
বিশিষ্টদের এই মতামত নিয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হবে না। কারণ এই বিষয়ে তাদের বলার কিছুই নেই।
আরও পড়ুনঃ
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, নিষেধাজ্ঞা জারির আসল রেকর্ড চাইল আদালত
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে কঠোর প্রশাসন, শুক্রবার ভোর থেকে অভিযানে পুলিশের জালে ১৮০০ জন