রাজ্যের সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার রাজ্যের মহিলাদের মাসিক অর্থ সাহায্য করে।
রাজ্যের সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার রাজ্যের মহিলাদের মাসিক অর্থ সাহায্য করে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকার গঠনের পর থেকেই এই প্রকল্প চালু করা হয়িছল। রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের থেকে উপকৃত হচ্ছে।
25
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শর্ত
রাজ্যের সব মহিলা কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পান না। এই প্রকল্পের জন্য কতগুলি শর্ত পালন করতে হয়। প্রথম শর্তই হল এই প্রকল্পের জন্য মহিলাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০এর মধ্যে হতে হবে। মহিলার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থাকতে হবে। সেটিকে অবশ্যই আদার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করিয়ে রাখতে হবে। কেওয়াইসি দিতে হবে। কারণ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে গিয়ে পৌছায়। মহিলা রাজ্যের অন্য কোনও প্রকল্পের সুবিধে পেলে এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অন্যতম শর্ত হল মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড থাকতে হবে। এই কার্ড না থালকে সংশ্লিষ্ট মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবে না।
35
টাকার অঙ্ক
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্য়মে রাজ্য সরকার সাধারণ মহিলাদের মাসে ১২০০ টাকা দেয়। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে ১৫০০ টাকা দেয়। এই প্রকল্পের টাকা আগামী দিনে বাড়তে পারে। অনেকেই মনে করছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ফের বাড়িয়ে দেয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। আগামী মাসেই পুজো। নবান্নে গুঞ্জন পুজোর আগেও বাড়তে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা।
রাজ্য সরকার সাধারণত মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাঠাতে শুরু করে। ১-৭ তারিখের মধ্য়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা ঢুকে যায় ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে। তাই পুজোর মাসে যাতে টাকা নিয়ে কোনও সমস্যায় না পড়েতে চান তাহলে এখনই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করে রাখুন। না হলেই পুজোর মাসে সমস্যা বাড়তে পারে।
55
সমস্যার সমাধান
রাজ্য় সরকার বর্তমানে একাধিক জায়গায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই সেখানে যোগাযোগ করুন। না হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। পুজোর মাস মানে সেপ্টেম্বর মাস। সেপ্টেম্বরের শেষেই পুজো। আর টাকা ঢোকার কথা প্রথম সপ্তাহে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন যাতে সেপ্টেম্বর মাসের টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে পড়ে।