
Sonarpur News: লস্করপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোল বদল। স্মার্ট ক্লাসরুম থেকে ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্সে আধুনিক শিক্ষার ছোঁয়া। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত লস্করপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবার একেবারে নতুন রূপে সেজে উঠেছে। বহু বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়কে আধুনিক ও উন্নত করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন পৌরপিতা সুশান্ত দাস। তাঁর প্রচেষ্টাতেই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোয় এসেছে এক বিপুল পরিবর্তন। বিদ্যালয়ে তৈরি হয়েছে নতুন শেড, বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, সংস্কার করা হয়েছে স্কুল ভবন। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ—আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গড়ে তোলা স্মার্ট ক্লাসরুম। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা হবে আরও আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য।
শুধু পড়াশোনার পরিবেশ নয়, নজর দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিয়মিত উপস্থিতিতেও। চালু হয়েছে ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম। এখন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি নির্দিষ্ট সময়ে সুনিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী স্কুলে প্রবেশ করলেই সেই তথ্য সরাসরি চলে যাবে অভিভাবকের মোবাইলে। ফলে অভিভাবকেরা সহজেই জানতে পারবেন তাঁদের সন্তান স্কুলে রয়েছে কিনা।
এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয় শিক্ষক দিবসে। বিশেষ দিনে স্কুলের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখার্জি সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। খুশি ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা—সবাই প্রশংসা করেছেন এই পদক্ষেপের।
বিদ্যালয়ের এই ভোলবদল শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন নয়, বরং আগামী প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক বাস্তব পদক্ষেপ। পৌরপিতা সুশান্ত দাসের উদ্যোগে লস্করপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
অন্যদিকে, অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকে জট কাটল। উচ্চ প্রাথমিকে ১২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দিলে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৫ সালের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৪,০৫২ টি শূন্যপদে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, আটটি কাউন্সেলিংয়ের পরও ১২৪১ জন চাকরি পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরও এই ১২৪১ টি পদে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। অভিযোগ, তারপরেও এসএসসি নিয়োগ করেনি। শুক্রবার সেই মামলাতেই ১২৪১ উচ্চ প্রাথমিক শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।