আধো বর্মনের বাড়ি বাংলাদেশের পীরগঞ্জ এলাকায়। কাঞ্জুর বাড়ি ভরতপুরের মিঠাবাড়ি এলাকায়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটা তার পেরিয়ে ভারতে ঢুকেও শেষ রক্ষা হল না। শেষপর্যন্ত ধড়া পড়ে গেলেন বিএসএফ-এর হাতে। কিন্তু বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ার পরেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে দিলেন। ধৃত দুই জন হলেন, আধো বর্মন ও কাঞ্জু বালা। একজনের বয়স ৮০। অন্যজন ৭৪ বছরের।
আধো বর্মনের বাড়ি বাংলাদেশের পীরগঞ্জ এলাকায়। কাঞ্জুর বাড়ি ভরতপুরের মিঠাবাড়ি এলাকায়। বুধবার রাধিকাপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ আটক করে তাদের।
ধৃত আধো বর্মনের ছেলে ১৯৯৯ সাল থেকেই ভারতে রয়েছেন। হেমতাবাদ এলাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নিজের মাকে এই দেশের নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ছেলে মাকে রাধিকাপুর সীমন্ত নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পরই বিএসএফ গ্রেফতার করে তাঁদের। আধোর ছেলে সুরেন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, 'আমার মা আর কদিনই বা বাঁচবেন? যে কয়েকদিন বাঁচবেন সে কটা দিন আমার কাছেই থাকুক। কারণ বাংলাদেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলেছে তাতে আমরা খুবই আতঙ্কে ছিলাম। ওপারে সব কবে ঠিক হবে তা আমরা জানি না।'
অন্যদিকে কাঞ্জু জানিয়েছেন, 'ওখানে খুব অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে দিয়েছে। থাকার জায়গা নেই। তাই এই দেশে চলে এসেছিল। এখানে মেয়ের বাড়ি আছে আমার। ' সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রী সরকার জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুই বৃদ্ধাকেই কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আদালতে পেশ করে। দুজনেই ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।