৬ শতাংশ ডিএ-এর ঘোষণায় মোটেও খুশি নন সরকারি কর্মীরা। এর আগেও ডিএ-এর দাবিতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের দু'দিনের কর্মবিরোতি পালন করেছিলেন তাঁরা।
১ মার্চ থেকেই অতিরিক্ত তিন শতাংশ ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। বাজেট অধিবেশনের দিনই এই অতিরিক্ত ডিএ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিন শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছিল সরকার। তারপর আবার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন শতাংশ ডিএ বাড়ল। অর্থাৎ ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবে সরকারি কর্মীরা। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। আগামী ১ মার্চ থেকেই ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবে সরকারি কর্মচারী, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত কর্মী, পুরসভা, পুর নিগম এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা।
তবে ৬ শতাংশ ডিএ-এর ঘোষণায় মোটেও খুশি নন সরকারি কর্মীরা। এর আগেও ডিএ-এর দাবিতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের দু'দিনের কর্মবিরোতি পালন করেছিলেন তাঁরা। আগামী ১০ মার্চ ফের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার নবান্নের বিজ্ঞপ্তির পরেও নিজেদের ৩৫ শতাংশ ডিএ-এর দাবিতেই অনড় তাঁরা। ৩ শতাংশ বাড়তি ডিএ নিয়ে যে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট নন কর্মীরা তা আগেই বুঝিয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে এবার লাগাতার কর্মবিরোতির ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারিদের। পাশাপাশি বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। বর্ধিত ডিএ ঘোষণায় ক্ষোভ প্রশমের বদলে বরং আরও বেড়েছে অসন্তোষ। কেন্দ্রের যেখানে আরও চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে এখন ডিএ দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশে যেখানে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ বাড়িয়ে মাত্র ৬ শতাংশ ডিএ-এর ঘোষণাকে 'ভিক্ষা দেওয়ার মত' মনে করছে কর্মীরা। রাজ্যের এই ঘোষণাকে প্রত্যাখানও করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকেই ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরোতির ডাক দিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা। পাশাপাশি শুক্রবার বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাশাপাশি বাম সমর্থিত আরও ৩০টি সরকারি কর্মী এবং পেনশনারদের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকেও ডাক দেওয়া হয়েছে বিধানসভা অভিযানের। ইতিমধ্যেই লাগাতার আন্দোলনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু আন্দোলনকারী। বৃহস্পতিবার আন্দোলন চলাকালীন মাথা ঘুরে পড়ে যান সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনারদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেও প্রথমে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যজুড়ে কালো ব্যাজ পড়ে ধিক্কার দিবস পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন -
প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, বরং পরিকল্পিত 'ষড়যন্ত্র', মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস ইস্যুতে সাফাই পর্ষদের