সংক্ষিপ্ত
তবে কি সত্যিই ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র। প্রাথমিকভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবিষয় কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
'পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র', মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল পর্ষদ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করল পর্ষদ। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেই ফের দানা বাঁধল বিতর্ক। দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষার দিনে ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘিরে দিনভর চলল জল্পনা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক বাদেই ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে টুইট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই অভিযোগ করেন এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। এরপর থেকেই জল্পনা সৃষ্টি হয়, তবে কি সত্যিই ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র। প্রাথমিকভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবিষয় কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার বেশ খানিকক্ষণ পর পর্ষদের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলেই জানানো হয়।
পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়,'সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সমস্ত ছবি প্রচারিত হচ্ছে, তা আজ মাধ্যমিকের ১৬ পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্রের তিনটি পৃষ্ঠা। বিষয়টি আসলে পরিকল্পিত নাশকতা।' এই মর্মে পর্ষদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় যদি সত্যিই প্রশ্নপত্র ফাঁস হত, তাহলে সব কটি পৃষ্ঠাই হত শুধু তিনটি পাতা নয়। এই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধও করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গাপাধ্যায়।
দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ পরীক্ষার দিন সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি প্রশ্নপত্র। ভাইরাল সেই প্রশ্নপত্রের ছবি টুইটও করেছেন তিনি। পরীক্ষা শেষের আগেই কীভাবে সোশযাল মিডিয়ায় সেই প্রশ্ন এল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। এ বিষয় খতিয়ে দেখার কথাও বলেছেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি প্রশ্নপ্ত্র ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। এই বিষয়টি নজরে আসতেই পড়ুয়া ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে টুইট করেন তিনি।
টুইটারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লেখেন,'আজ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। সকল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এবারের মাধ্যমিক পরিক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।' সঙ্গে ভাইরাল সেই প্রশ্নপত্রের ছবিও দেন তিনি। তবে এই প্রশ্নপত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোনও সিলমোহর বা ছাপ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন -