
Hooghly News: সংবাদ শিরোনামে ফের হুগলী। এবার স্ত্রী মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর! ঘটনার খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপাড়ায়। হিন্দ মোটর ভদ্রকালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের মধ্যে চার বছরের এক শিশু ও মহিলা মৃত অবস্থায় ঘরে পরে থাকতে দেখা যায়। গৃহকর্তা কাশীনাথ চ্যাটার্জি গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তর পাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। তাকে মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নাম পায়েল চ্যাটার্জি(২৫) ও মেয়ে অদ্রিতা চ্যাটার্জী(৪)। তাঁদের দের মৃত অবস্থায় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়ার ভদ্রকালী এলাকায়। ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা এবং শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সবদিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির কারনে এই ঘটনা বলে অনুমান। কাশিনাথ একটি কারখানায় কাজ করেন। বুধবার ভোরে নিজের ঘরে ফল কাটার ছুরি দিয়ে নিজের চার বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে কী কারণে আত্মহত্যা? তা জানতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, গত ২৯ মে ভয়াবহ নৃশংসতার ঘটনা ঘটে হুগলীর চন্দননগরে। প্রথমে স্ত্রী এবং তারপর নিজের কন্যাকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে রীতিমতো খুন। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে নিজে আত্মঘাতী হন এক প্রৌঢ়। গত বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে চন্দননগরে (west Bengal news today live)।
আর এই ঘটনার সঙ্গেই এবার ট্যাংরা এবং হরিয়ানার পঞ্চকুলার ঘটনার মিল পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, একাধিক স্থানীয় মানুষজনের দাবি, বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকার দেনা ছিল ওই পরিবারের। আর ঠিক সেই কারণেই, মানসিক অবসাদ থেকে ওই প্রৌঢ় একসঙ্গে নিজের স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান করছেন অনেকেই। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (chandanagar murder case)।
পুলিশ সূত্রে কী জানা যাচ্ছে?
গত বুধবার, গভীর রাতে চন্দননগরের কলুপুকুর গড়ের ধার এলাকার একটি বাড়িতে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। খবর যায় চন্দননগর থানায়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এই খবর পেয়েই, ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তারপর ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৬১ বছরের বাবলু ঘোষ, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ, যার বয়স ৪৬ বছর এবং ১৩ বছরের কন্যা পৌষালি ঘোষের দেহ। রাত ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলিকে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যাচ্ছে (chandanagar murder case latest news)।
স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, বাবলু আগে একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। এরপর কিছুদিন টোটোও চালিয়েছেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের সেই টোটোটি ভাইকে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে বাড়িতেই একটি দোকান চালাতেন তিনি। তবে খানে সাট্টার প্যাড লিখতেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।