উদ্বোধনের দু'দিনের মাথায় ফের সংবাদ শিরোনামে 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস। সোমবার মালদা স্টেশনের কাছে হামলার মুখে পড়তে হয় এই দ্রুতগামী ট্রেনকে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
বাংলায় চাকা গড়াতেই হামলার মুখে মোদীর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদহের আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের সামসির কুমারগঞ্জের কাছে ট্রেন লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যেও। সোমবার বিকেলে ঘটে এই ঘটনা। উল্লেখ্য, মাত্র দু'দিন আগেই দ্রুতগামী এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চালু হওয়ার দু'দিনের মাথায়ই হামলার মুখে ট্রেনের গেটের কাঁচ ভেঙে যায়। ঠিক কারা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। ঘটনার জেরে অশন্তোষ ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যেও। নতুন ট্রেনের হামলার বিরোধিতা করেছেন তাঁরা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনার বিরোধিতা করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও দাবি করেছেন অনেকে। এই ট্রেনের এক যাত্রীর কথায়,'জনগনের উচিত দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার। আশা করি সরকার এবিষয় সঠিক পদক্ষেপ নেবে।।' পাশাপাশি কেন্দ্রের উদ্যোগের প্রসংশাও করেছেন তিনি। অপর এক যাত্রীর মতে,'এই ট্রেন আমাদের সবারই একটা গর্ব। এই ট্রেনে এই ধরণের হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এটা আমাদের দেশেরও ক্ষতি। আমরা চাই ট্রেন ভালোভাবে চলুক।' ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলের মদতেই এই কুকীর্তি করেছেন দলীয় দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারকে দুষলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়,''কাশ্মীর শুধরে গিয়েছে, কিন্তু বাংলা ধীরে ধীরে কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে।' অন্যদিকে উলটো সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলায়। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির গোষ্টি কোন্দলকেই দায়ী করেছেন তিনি।
উদ্বোধনের দু'দিনের মাথায় ফের সংবাদ শিরোনামে 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস। সোমবার মালদা স্টেশনের কাছে হামলার মুখে পড়তে হয় এই দ্রুতগামী ট্রেনকে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। গত ৩০ ডিসেম্বরই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় ২ জানুয়ারি মালদা কুমারগ্রামের স্টেশনের কাছে এই বিলাসবহুল ট্রেনকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইট বৃষ্টি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। হামলার আঘাতে একটা কোচের কাচ ভেঙে যায়। ঠিক কারা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার শিরোনামে উঠে আসছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই ঘটনার বিরোধিতাইয় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন -
জানুয়ারি মাসেই প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি, কী লিখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
আপাতত রাজ্যের বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিরক্ত করবেন না, কেন এমন বললেন মমতা