ঘটনার বিরোধিতাইয় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উদ্বোধনের দু'দিনের মাথায় ফের সংবাদ শিরোনামে 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস। সোমবার মালদা স্টেশনের কাছে হামলার মুখে পড়তে হয় এই দ্রুতগামী ট্রেনকে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। গত ৩০ ডিসেম্বরই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক দু'দিনের মাথায় ২ জানুয়ারি মালদা কুমারগ্রামের স্টেশনের কাছে এই বিলাসবহুল ট্রেনকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইট বৃষ্টি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। হামলার আঘাতে একটা কোচের কাচ ভেঙে যায়। ঠিক কারা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার শিরোনামে উঠে আসছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই ঘটনার বিরোধিতাইয় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসু। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতকেই দায়ী করছেন বিরোধীরা। তৃনমূল সরকারের 'ইন্ধনে'ই রাজ্যে এই জাতীয় ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটছে বলেও দাবি করছে বিরোধীদে্র একাংশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দীলিপ ঘোষ বলেছেন,'কাশ্মীর শুধরে গিয়েছে, কিন্তু বাংলা ধীরে ধীরে কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে।' এখানেই শেষ নয়, এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন,'রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি এ রাজ্যে এত সক্রিয়, আর এখানকার সরকার তাঁদের মদত দিচ্ছে।' সিএএ-এর প্রসঙ্গে টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন,'সংসদে যখন সিএএ পাশ হল, তখন অনেক রাজ্যেই বিরোধিতা হয়েছিল। কিন্তু একমাত্রা পশ্চিমবঙ্গে তিনদিন ধরে উৎপাত চলেছিল। প্রায় আড়াইশোর কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগই রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে বাংলার একাংশ শত্রুর সম্পত্তি মনে করেন। ভারতের আইন ও সংবিধানকে শত্রু দেশ বলে মনে করছেন। বাংলা দেশ বিরোধী শক্তির হাতে চলে যাচ্ছে, এর কৃতিত্ব পুরোপুরি তৃণমূলের। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না।'
আরও পড়ুন -
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর-বৃষ্টি, ভাঙল দরজার কাচ
জানুয়ারি মাসেই প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি, কী লিখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি হয়ে যেতে হবে, আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের প্রতি ফের কড়া কেন্দ্র সরকার