
২০১৯ সালে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপর থেকেই বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের বাইরে কারও যোগদান নিষেধ। এবারও সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। বহিরাগত কাউকেই বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক ও পড়ুয়ারাই বসন্ত উৎসব পালন করবেন। শুক্রবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার নিয়ে পরপর ৬ বছর বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হয় পালন করা হচ্ছে না, অথবা বাইরের কারও প্রবেশ নিষেধ। ফলে পর্যটকরা কিছুটা হতাশ।
২০২০ থেকে বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস অতিমারীর জেরে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়নি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়নি। গত বছর বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরাই এই বসন্ত বন্দনায় যোগ দেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্য, সব ভবনের অধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, কর্মী ও কর্মী সংঘের সদস্যেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত বছর দোল উৎসব পালন হয়েছিল। কিন্তু সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হলেও, বিশ্বভারতীর রীতি অনুযায়ী দোলের দিন আবিরে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার অনুমতি ছিল না।
২০১৯ সালে চরম বিশৃঙ্খলা
২০১৯ সালে দোলের আগের দিন শেষ রাত থেকেই শান্তিনিকেতনের রাস্তায় প্রবল যানজট তৈরি হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পরেই বসন্ত উৎসবে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরপর দু'বছর করোনাভাইরাস অতিমারীর কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারপরেও বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের স্বাভাবিক ছবি ফেরেনি। এবারও বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব অনেকের কাছেই অচেনা ঠেকবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
দোলের আগে কলকাতা জুড়ে পলাশের সমারোহ, বোলপুরেও বসন্ত উৎসবের সাজ সাজ রব
দোল উৎসবের প্রাচীণ ইতিহাস, কেন দোলকে 'বসন্ত মহোৎসব' বা 'কাম মহোৎসব' বলা হয়
রায়গঞ্জের বসন্ত উৎসবে এবার ভিনদেশীদের ভিড়, বেলা বাড়তেই শহর ঢাকল আবিরে