
Voter Card Trucking System News: ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে কড়া নজরদারি। ভোটার কার্ডে এবার ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত সিইও দফতরের। ভোটার তালিকা থেকে ভূতুড়ে নাম বাদ দিতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এবার পাসপোর্টের ধাঁচে ভোটার কার্ডের উপর নজরদারি চালাতে চালু হচ্ছে ট্র্যাকিং সিস্টেম।
সিইও দফতর সূত্রে খবর, নতুন ব্যবস্থায় ভোটার কার্ডের আবেদন, যাচাই ও প্রাপ্তি — প্রতিটি পর্যায়ে ট্র্যাকিং করা সম্ভব হবে। এর ফলে ভুয়ো আবেদন, একাধিক স্থানে নাম থাকা বা ভূতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করা অনেক সহজ হবে।
নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটার আবেদনকারীরা "Track Application Status" অপশনের মাধ্যমে নিজেদের আবেদন কোথায় রয়েছে, তা দেখতে পাবেন। সংশ্লিষ্ট ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ তার আবেদন সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। সিইও দফতর সূত্রের খবর এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু হলে স্বচ্ছতা যেমন বাড়বে, তেমনই ভূতুড়ে ভোটারদের সংখ্যা কমাতে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ডিজিটাল ট্র্যাকিং চালু হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনই প্রশাসনিক স্তরেও নজরদারি আরও জোরদার হবে। আগামী দিনে এটি সারাদেশে বাধ্যতামূলকভাবে চালুর ভাবনাচিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এই ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
অন্যদিকে, গামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে প্রশাসনিক পরিমণ্ডল। কমিশনের নির্দেশিকাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য-কমিশনের টানাপোড়েন শুরু। গতকাল দুপুরেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন। এর মধ্যেই রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের প্যানেলে অসন্তোষ জানাল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ — অ্যাডিশনাল সিইও, ডেপুটি সিইও এবং জয়েন্ট সিইও-র জন্য যে প্যানেল পাঠানো হয়েছে, সেখানে প্রস্তাবিত আধিকারিকদের কারোরই নির্বাচন পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তাই সেই প্যানেল গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নতুন করে নামের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তা দ্রুত পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষত যেহেতু ২০২৬-এর ভোটের জন্য প্রস্তুতির প্রক্রিয়া এখনই শুরু করার কথা ভাবছে কমিশন, সেক্ষেত্রে এই তিনটি শীর্ষ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ অবিলম্বে জরুরি।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরকে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্য-কমিশনের এই সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনিক সমন্বয় কতটা মসৃণ হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।