দুর্গাপুজোর সময় কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচির ফলে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। আন্দোলন প্রত্যাহারের বার্তা দিচ্ছে সরকার।
১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে যোগ দেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, 'আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। কাজ যে হচ্ছে, সেটা দেখাও যাচ্ছে।' আন্দোলনকারীদের দাবি মানবে সরকার? মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ১০ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ৯০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু কোন মাসের ১০ তারিখ, তা জানাননি মুখ্যসচিব। অক্টোবরের ১০ তারিখ সপ্তমী। দুর্গাপুজোর সময় কাজ হওয়ার কথা নয়। ফলে ১০ নভেম্বরের কথাও বলে থাকতে পারেন মুখ্যসচিব।
রেফার রোগ বন্ধ হবে?
জেলাগুলির সরকারি হাসপাতাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার ঘটনা নতুন নয়। এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালালদের উৎপাত নিয়েও বহু অভিযোগ রয়েছে। রেফার বন্ধ করা নিয়ে রাজ্য সরকার কী করছে? মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ‘কোনও রোগীকে কী কারণে রেফার করা হচ্ছে, সেটা নথিভুক্ত করতে হবে। কোন হাসপাতালে কত বেড রয়েছে, সেটা ‘রিয়েল টাইম’ করতে পারলে সুবিধা হবে। রোগীভর্তির সময় হাসপাতালে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরাও তখন বুঝতে পারবেন কোন হাসপাতালে ‘রেফার’ করলে সুবিধা হবে।’
চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। কিন্তু চিকিৎসকদের মূল দাবিগুলি কবে পূরণ করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থার কথাও জানানো হয়নি। ফলে সরকারের কথা ও কাজের মধ্যে ফাঁক রয়েই গিয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে চৌকি আনা নিয়ে অশান্তি, বউবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ
বাড়ির পুজো বন্ধ, মেয়ের বিচারের দাবিতে ষষ্ঠী থেকে ধর্নায় আর জি করে নির্যাতিতার পরিবার