আইএসএফ সূত্রের জানা গেছে মৃত কর্মীর নাম হাসান আলি মোল্লা। দলের আরও চার জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রাতভর সন্ত্রাসে উত্তপ্ত ভাঙড়ে বোমাবাজি আর গুলিয় লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত দুই আইএসএফ কর্মী -সহ মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। অনেকের অবস্থা আশঙ্কা জনক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকা। পুলিশের সঙ্গে আইএসফ কর্মীদের দফা দফায় সংঘর্ষ বাধে। বোমাবাজি হয় , গুলি চলে। সেই সংঘর্ষের কারণে তিন জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশ টহল দিতে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আইএসএফ সূত্রের জানা গেছে মৃত কর্মীর নাম হাসান আলি মোল্লা। দলের আরও চার জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে পুলিশ ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রাজু মোল্লা। তাঁর বাড়ি কাঁঠালিয়া এলাকায়। পরিবারের দাবি ৩৫ বছরের রাজু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পারিবারিক আশান্তির কারণে রাতের বেলায় দিল্লির বাড়ির যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই পুলিশ-আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের দুই কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে বলেও জানা গেছে। আহত অ্যাডিশনাল এসপি-র হাতে গুলি লেগেছে। আর তার গার্দের গুলি লেগেছে পায়ে। তাদের চিকিৎসা চলছে এনআরএস হাসপাতালে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালেই ভাঙড়ে গেছে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররা। ভাঙড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি সাউথবেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। তবে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে কোনও সংঘর্ষের খবর নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তবে গতকাল রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বোমাবাজির কারণে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা। ভোটকর্মী রাতভর আটকে ছিল গণনাকেন্দ্র। বুধবার ভোরবেলা তাদের উদ্ধারকরে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১২টারও পরে নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীরা। একের পর এক বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাল্টা পুলিশও বরার বুলেট চালায়। কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে আইএসএফ কর্মীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভোট গণনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। স্থানীয় আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে তাদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের সময় তাঁকে পরাজিত বলে ঘোষণা করা হয়। বিডিও জানান ৩৬০ ভোটে হেরে গেছেন তিনি। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ প্রশাসনের তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। তাতেই জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। এই ঘটনার পর থেকেই গণনাকেন্দ্রে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আইএসএফরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে পড়ে।