গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ দখলে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন এগিয়ে রয়েছে তেমনই ভোট হিংসায় সব থেকে বেশি প্রাণ গেছে তৃণমূলের সমর্থকদের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তৃণমূল ৩ হাজার ৭০০র বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে রেখেছে। অন্যদিকে ৩ হাজার ১৬৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে বিজেপি জিতেচে মাত্র ৬৭৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
যারমধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭৮২টি আসনে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সিপিআই(এম) ৭০০টির মত আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২২৪টিতে জিতেছে। কংগ্রেস ১০৭টিতে জিয়েছে। আর ২৪১টিতে এগিয়ে রয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২০টি জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে গণনা হচ্ছে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও বিক্ষির্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিনের মতই ব্যালট পেপার নষ্ট করার দিকেও ঝোঁকে বেশি রাজনৈতিক দলগুলির। ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোট গণনা হচ্ছে।
গণনার শুরু থেকেই বিজেপি, সিপিআই(এম) কে রীতিমত টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জিততে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা রীতিমত সক্রিয় প্রত্যেকটি বুথে। একাধিক বুথে আইনি ভাঙার মত ঘটনার ঘটাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তেমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ দখলে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন এগিয়ে রয়েছে তেমনই ভোট হিংসায় সব থেকে বেশি প্রাণ গেছে তৃণমূলের সমর্থকদের। নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে এপর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। শুধুমাত্র ভোটের দিমনই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনেও বেশি মানুষের, যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল ১১জন। তবে এই হিংসার কথা মানতে নারাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনার রাজীব সিনহার দাবি মৃত্যের ঘটনা তিন থেকে চার জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যে সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বাম আমলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু হয়েছিল ৭৬ জনের। ভোটের দিনই মারা গিয়েছিল ৪০ জন।
শনিবার ভোট গণনার দিনে ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল। সোমবার পুননির্বাচনের দিন ৬৯৬টি বুথে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা নিয়ে জয়ের আশার আলো দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।