৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মোদী এবং মমতার সঙ্গে একই মঞ্চ দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জোর কৌতূহল।
মাঝে আর মাত্র একদিন। তারপরেই বঙ্গে পা রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, তাঁর আসার পর বাংলায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বিখ্যাত ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। রয়েছে জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকও। এই উপলক্ষেই মাত্র ঘণ্টা চারেকের ঝটিকা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, এই সফরকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতেও জল্পনা কম নয়। মোদী-মমতাকে একই মঞ্চে দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জোর কৌতূহল। আরেকদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আরও একটি দৃশ্যের অপেক্ষায় বিদ্যমান। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মোদী এবং মমতার সঙ্গে একই মঞ্চ দেখা যাবে কিনা, তা নিয়েও ভাবিত রয়েছেন বিশ্লেষকরা।
৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতায় জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের ওই বৈঠকে প্রাণকেন্দ্র তিনিই, সেখানে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি অবশ্যই ওই বৈঠকে যোগ দেবেন। কিন্তু এই বৈঠকের আগে রয়েছে হাওড়া স্টেশনে ‘বন্দে ভারত’ এর যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠান। সেখানেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশে দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট জল্পনা।
এই অনুষ্ঠানে রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের বিশেষ সূত্র। আরেকদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও একই দিনে হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে। রেলের আনুষ্ঠানিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে একই সঙ্গে রাজ্যরাজনীতির দুই যুযুধান পক্ষ, শাসক দলের সুপ্রিমো এবং বিরোধী দলের প্রধান নেতা উপস্থিত হলে প্রশাসনিক সৌজন্যের ছবি যেমন ফুটে উঠবে, তেমনই রাজনৈতিক ময়দানেও যথেষ্ট জলঘোলা হবে।
বিধানসভার অধিবেশনে এইরকমই একটি ‘সৌজন্য’-এর ছবি সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। সেদিন, সকলকে চমকে দিয়ে বিরোধী পক্ষ শুভেন্দুকে নিজের চেম্বারে চা খেতে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অন্য তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে অবশ্য তিনি সংবাদমাধ্যমকে প্রায় নিশ্চিত করে বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে কোনওভাবেই তিনি প্রণাম করেননি। অপরদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ককে প্রায় দু’বছর পর ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের সৌজন্য বিনিময় নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছিল।
সেই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এর কয়েকদিন পর রাজভবনে নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান শুভেন্দু। তার পর থেকে তাঁকে আর কোনওদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের সময় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে কিনা, এই কৌতূহল নিয়েই আপাতত গুঞ্জন চলছে রাজনীতির ময়দানে।
আরও পড়ুন-
হাওড়ার বাগনানে ভয়ঙ্কর দুষ্কৃতী হামলা, জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে ছোট্ট শিশুকন্যার সামনেই গুলি করে খুন
বন্ধ হবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, দেশের কোটি কোটি দরিদ্র নাগরিকদের বাঁচাতে বিকল্প ভাবনা কেন্দ্র সরকারের