ইডি জানতে পেরেছে, সোমা একটি পার্লার চালাতেন। কুন্তলের সঙ্গে একটি পার্টিতে আলাপ হয়েছিল এই সোমা চক্রবর্তীর।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির জেরার মুখে গোপাল দলপতির স্ত্রী-কে ‘রহস্যময়ী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তদন্ত করে ইডি জানতে পারে যে এই ‘রহস্যময়ী’ আসলে একজন উঠতি মডেল, যাঁর নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। এর সঙ্গে গোপাল দলপতির যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছিল, এও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, এখানেই রহস্যের শেষ নয়। হৈমন্তীকে ছাপিয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন সোমা চক্রবর্তী। কুন্তলের সাথে এই সোমা চক্রবর্তীরও বেশ বড় রকমের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলে খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এখন প্রশ্ন হল, কে এই সোমা চক্রবর্তী, কীভাবেই বা এর সাথে কুন্তলের যোগাযোগ? কুন্তল ঘোষ যদিও প্রথমে দাবি করেছিলেন যে, এরকম নামের কাউকে তিনি চেনেনই না। তবে, পরে জেরার মুখে তিনি বলে ফেলেন, সোমার সাথে তাঁর ‘বন্ধুত্ব’ ছিল।
এর আগে সোমাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে নিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করেছিল ইডি। সেখানেই জানা গেছে, কুন্তলের সঙ্গে একদিন একটি অভিজাত ক্লাবে আলাপ হয়েছিল সোমার। ২০১৫ সাল থেকেই দু’জন একে অপরকে চেনেন। তাঁদের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব’ গড়ে ওঠে। এরপর সোমা এবং কুন্তলের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। কী কী বিষয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল, সেসম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে সোমা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ইডি-র জেরার সময় সোমা জানিয়েছিলেন যে, ব্যবসার কাজে লাগাবেন বলে ধার হিসাবে কুন্তলের থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। ধার হিসাবে নেওয়া টাকা কুন্তলের কাছে তিনি ফিরিয়ে দিতেন কি না, সেই তথ্য বিভিন্ন নথি ঘেঁটে যাচাই করতে চায় ইডি। কুন্তল জেরার মুখে বলেছিলেন যে তিনি মাত্র ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সোমাকে। কিন্তু, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন যে কম করেও ৫০ লক্ষ টাকা গিয়েছিল সোমার হাতে। তবে, এখন তদন্তকারীদের সন্দেহ যে, এই টাকার অঙ্কটা ৫০ লক্ষের সীমাও পেরিয়ে যেতে পারে। এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমাকে আরও এক বার ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁকে ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে ।
আরও পড়ুন-
বউমাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গেলেন রাজস্থানের শ্বশুর, তাও আবার নিজের ছেলেরই বাইক চুরি করে
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে KYC তথ্য যোগ করতে গিয়েই ঘটল বিপদ, লিঙ্কে ক্লিক করতেই গায়েব হয়ে গেল লক্ষ লক্ষ টাকা